আহসানুর রহমান রাজীব : জানু পারভীন (৭০), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। বয়সের ভারে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন এই বৃদ্ধা এলাকার সবার কাছে দাদি বলে পরিচিত। প্রতিদিন ভোররাতে পাড়ার বিভিন্ন ঘরে গিয়ে নামাজের জন্য তিনি সবাইকে ডাকতেন। দরজায় ধাক্কা দিতেন। এতে অনেকের ঘুম ভেঙ্গে যেত। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু প্রতিবেশিরা ঝগড়া বাধায় তার ছেলে আর বৌদের সাথে। তার পর একদিন ছেলে আর বৌরা মিলে তাকে বাড়ির পাশে একটি গাছে শেকল দিয়ে বেধে রেখেছিল। এ সময় বাড়ির পাশের এক ব্যাক্তি শেকল বাধা বৃদ্ধার ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বৃদ্ধার বাড়িতে যান, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার। এ সময় তিনি বৃদ্ধ মায়ের কাছে সে দিনের ঘটনা জানতে চাইলে বৃদ্ধা জানান, ছেলে ও বৌদের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। মাঝে মাঝে আমার মাথায় সমস্যা হয় তখন আমি রাস্তায় চলে যাই। ফজরের নামাজের সময় মানুষের বাড়িতে যেয়ে নামাজের জন্য ডাকাডাকি করে জালাতন করি এ জন্য প্রতিবেশীরা ছেলে বৌদের সাথে ঝগড়া করে তাই রাগ করে ওরা আমাকে শেকল দিয়ে বেধে রেখেছিল। তারা আমার দেখাশুনা করে খেতে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাকে শেকল মুক্ত করি। শনিবার বিকালে আমি নিজে তার বাড়িতে যেয়ে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তার ছেলে বৌদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেন নি। তার পরও আমি তাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। ভবিৎষতে আর কেউ তার সাথে এমন আচরণ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।