তালা

পাটকেলঘাটায় সাংসদ-নেতা-কর্মকর্তা কেউ উদ্যোগ না নেয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার কাজ শুরু

By Daily Satkhira

July 15, 2017

নজরুল ইসলাম রাজু : আ’লীগের হেভিওয়েট নেতা, সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের এমপি, জেলা পরিষদ, এলজিইডি সহ রাস্তা সংস্কারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্ণা দিয়ে এছাড়া সাংবাদিকের বার বার লেখনিতেও কাজ না হওয়ায় দীর্ঘ ১৭ বছরের জরাজীর্ণ রাস্তাটি সংস্কারে নেমেছে রাস্তার পাশের ব্যবসায়ী-দোকানিসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করেছে তারা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাস্তার গন্ধযুক্ত নোংরা কাদা-মাটি, আবর্জনা, ময়লার স্তুব পরিষ্কার করছেন। এ কাজের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে প্রতিদিন ৮/১০ জন করে দিনমুজুর ভাড়ায় কাজের জন্য নেওয়া হয়েছে সাথে নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি ভ্যান। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি পাটকেলঘাটার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী বিদ্যুৎ সড়কটিতে প্রায় ২৫টির বেশী বড় বড় বিভিন্ন কোম্পানির শো-রুম রয়েছে। ক্রেতা সাধারণ এ রোডে কোনভাবে প্রবেশ করতে চাইনা রাস্তার বেহাল দশার জন্য। সাইকেল তো দূরের কথা হেটে যেতে গেল প্রায় হাটু কাদা পানি পাড়ি দিতে হয়। এদিকে পাটকেলঘাটা বাজার থেকে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সড়কে যাওয়ার এক মাত্র সহজ পথ এটি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ন চলাচল করে স্কুল কলেজগামী শত শত শিক্ষার্থী শিক্ষক। এদিকে রাস্তাটির সংষ্কারের প্রয়োজনীতা অনুধাবন করে ১শ এর অধিক ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। সরকার দলীয় নেতাদের রাস্তাটি প্রয়োজন উপলব্ধি করে শুধু বড় বড় কথার বুলি শুনেছে দীর্ঘ ১৬/১৭টি বছর ধরে এলাকাবাসী তাতে কিন্তু কাজের কোন কিছু হয়নি। অবশেষে পল্লী বিদ্যুৎ রোডের ব্যবসায়ীরা একটি আহবায়ক কমিটি করে রাস্তা সংস্কারের কাজ করে চলেছে। আহবায়ক কমিটির আব্দুল ওয়াদুদ সরদার, শেখ পলাশ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার কামাল আহম্মেদ, আমজাদ হোসেন, মফিজুল ইসলাম,খান হামিদুল ইসলাম, রোকনুজ্জামানের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ রোডের ব্যবসায়ীরা প্রায় ৫ বছর থেকে রাস্তাটির জন্য ক্রেতা শূন্যতায় রয়েছেন। যার কারনে গুনতে লক্ষ লক্ষ টাকার লোকশান। এছাড়া রাস্তা সংস্কারের জন্য এমপি, সরকার দলীয় নেতা, এলজিইডি, জেলা পরিষদ কোথাও তো বলতে বাদ রাখিনি যখন শুধু শুনি বাজেট হয়েছে আবার বাজেটটি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ভেস্তে গেছে তখন আর কি করার নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। পাটকেলঘাটাবাসী জানে রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতায় পল্লী বিদ্যুৎ রোডের কাজটি শুরু হয়নি আর আদৌও হবে কিনা সেটা নিয়ে এলাকাবাসী সন্দিহান। সাধারণ এলাকাবাসীর প্রশ্ন রাজনৈতিক কারণে সাধারণ জনগন কেন কষ্ট পাবে? পল্লী বিদ্যুৎ সড়কের পাশে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হতে বসেছে। রাস্তাটি ভেঙ্গে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে বড় বড় গর্তের মধ্যে পানি জমে থাকায় দুগর্ন্ধের সৃষ্টি হয়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়িক কাজকর্ম করতে দোকানীদের কষ্ট ব্যহত হচ্ছে। রাস্তাটির দু’ধারে গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা, হাজার হাজার মানুষের মধ্যে শিক্ষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষাথী, এনজিও কর্মী, কৃষক, বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকরা নিদারুন কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এমপি, সরকার দলীয় হেবিওয়েট রাজনৈতিক নেতা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েও কোন সুরাহা না হওয়া শেষ পর্যন্ত রাস্তার পাশের দোকানীরা নিজেরাই চাঁদা তুলে ও সেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কার করা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১শ মিটার রাস্তার কাজ সংস্কার সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে বর্তমান সরকারের মাননীয় এমপি, সরকারী নেতা কর্মীরা এমন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার গুরুত্ব অনুধাবন না করায় হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তীতে পড়েছে। তবে সকল ব্যবসায়ীক বৃন্দের একই প্রশ্ন সরকারের কাছেÑ সাতক্ষীরা জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র পাটাকলেঘাটার রাস্তাগুলোর এমন জরাজীর্ণ অবস্থা কেন? এটা কি ডিজিটাল সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের রাস্তা না একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার?