জাতীয়

পাখির মতো মানুষ পথে বলি হচ্ছে : কাদের

By Daily Satkhira

July 17, 2017

সারা দেশে বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় পাখির মতো মানুষ মারা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘পাখির মতো মানুষ পথে বলি হচ্ছে। আমি বেদনার অংকুরে বিজড়িত হই প্রতিনিয়ত। কত প্রাণ, মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে সড়কে। একজন মন্ত্রী হিসেবে কিছুই করতে পারছি না। কত পরিবার বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে। মনটা ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। রাস্তায় যখন চালকরা গাড়ি নিয়ে নামে, তখন তারাই রাস্তার রাজা হয়ে যায়। রাস্তাঘাট ভালো হলে তারা জানি কী করে বলা যায় না।’

এর আগে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের নেতারা সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মন্ত্রিসভায় ২২ অক্টোবরকে নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় তাঁরা মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় ইলিয়াস কাঞ্চন তাঁর সহধর্মিণীকে হারিয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেই দিন থেকে তিনি নিরাপদ সড়কের দাবিতে নিরলসভাবে আন্দোলন করে আসছেন। তাঁর মধ্যে একটি চেতনা ও কমিটমেন্ট তৈরি হয়েছে। অনেকে আন্দোলন করেন ক্যামেরানির্ভর। কিন্তু তিনি সত্যিকার অর্থেই আন্দোলন করে আসছেন।’

সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আরিচায় আগে কমপক্ষে ১০টি জায়গায় হুজুররা কাফনের কাপড় নিয়ে বসে থাকতেন যে, অ্যাকসিডেন্ট হবে আর তাঁরা দাফন করাবেন। এই পরিমাণ দুর্ঘটনা সেখানে ঘটত। অথচ এখন সেটা কমে গেছে।’

এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সেখানে দুজন ছাত্র মারা গেছে, তাঁরা দিনের পর দিন সড়ক অবরোধ করে রাখছেন। লাখ লাখ মানুষকে বন্দি করে রাখছেন। হাজার হাজার গাড়ি আটকে রাখছেন। সেখানে অনেক মুমূর্ষু রোগী, গর্ভবতী নারী আটকে থাকেন। আমার প্রশ্ন হলো দুজনের মৃত্যু শত শত মানুষের মৃত্যুর কারণ তো হতে পারে না।’

বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটু ভালো রাস্তা পেলেই চালকরা সব আলেকজান্ডার হয়ে যান। তাঁদের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাঁরা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে যানবাহন চালান। এতেই দুর্ঘটনাগুলি ঘটে।’

মন্ত্রণালয়ের বাস্তবতার কারণে অনেক কিছুই করতে পারেন না বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিদেশি অর্থায়নে কোনো কাজ করতে গেলে কাজের চেয়ে বেশি কনফারেন্স করতে হয়। কাজে অনেক দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়। অসংখ্য মিটিং করতে হয়। এরপর কাজে হাত দেওয়া যায়। এটা হলো বাস্তবতা।