আশাশুনি

চরম দূরাবস্থা শোভনালীর বসুখালী-কেয়ামারি রাস্তাটির

By Daily Satkhira

July 17, 2017

মোস্তাফিজুর রহমান : আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের কামালকাটি থেকে বসুখালী বাজার ও বসুখালী বাজার থেকে ঝেয়ামারি পর্যন্ত তিন কিলোঃ মিঃ ইটের সোলিং রাস্তার চরম দূরাবস্থা। গ্রামের ভিতরের রাস্তা হলেও এ রাস্তাটি দিয়ে চলচল করে বেশ কয়েকটা গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে বৈরাগীরচক, চিংড়ীখালি, ঝেয়ামারি, লতাখালি, সংকরমনি, ও বসুখালীর গ্রামের মানুষের উপজেরলা শহরসহ জেলা শহরে যাতয়াত করার জন্য একমাত্র রাস্তা এটি। তাছাড়া এসব এলাকার মানুষের নিকটবর্তী বাজার বসুখালী। যে বাজারে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ, তরকারিসহ অন্যান্য মালামাল বেচা-কেনা হয়। বিভিন্ন এলাকা হতে বাজারে মালামাল নিয়ে আসা এবং ফেরৎ যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। তাছাড়া বসুখালী বাজারে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি দাখিল মাদ্রাসা থাকায় সন্ন্যাসিরচক, ঝেয়ামারি, কামালকাটি, বৈরাগরিচক, চিংড়িখালী লতাখালী, সংকরমনি, বালিয়াপুরসহ পাশ্ববর্তী কয়েকটা এলাকা থেকে কয়েক শত ছাত্র-ছাত্রীর প্রতিনিয়ত এরাস্তা দিয়ে যাতয়াত করে। কিন্তু রাস্তাটির ৩ বিঃ মিঃ এর ইটের সোলিং এর অধিকাংশ ইট উঠে যাওয়ায় রাস্তা সংস্কারের অভাবে রাস্তাটির কোথাও কোথাও এক থেকে ডেড় ফিট খাঁদেও পরিনত হয়েছে। তাছাড়া কোন কোন জায়গায় ২-৩ ফিট করে রাস্তা বেঙে নদি ও মৎস্য ঘেরের সাথে মিশে গেছে। এলাকাবাসি জানায়, রাস্তার ইট উঠে খাদে পরিণত হওয়ায় ও ধ্বসে যওয়ায় তাদের যাতয়াত করতে অনেক হয়রানির সিকার হতে হয়। অনেক ব্যবসায়ী নছিমন, করিমন, ইঞ্জিনভ্যানে করে মালামাল নিয়ে আসার সময় মালমাল সহ উল্টে পানিতে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী যাতয়াতের সময় সোলিং এর উপর মাটি থাকায় পা পিছলে পড়ে আহত হতে হয়। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে রাস্তাটির দূরাবস্থার চিত্র চরমে পৌছায়। বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে কোথাও কোথাও রাস্তার উপর এক থেকে দেড় ফিট পানি উঠে যায়। তবে অতিপ্রয়োজনীয় এরাস্তাটির দিকে জন প্রতিনিধিদের কারো কোন খেয়াল নেই। এলকাবাসি জানায়, স্থানিয় জনপ্রতিনিধি সহ অনেকে অনেকবার মেরামতের আশ্বাস দিলেও এরাস্তাটির সংস্কারের জন্য কেহ কখনও উদ্দ্যোগ নেয়নি। বসুখালী ও রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী জন সাধারণের প্রাণের দাবি, রাস্তাটি মেরামতের জন্য উপজেলা পরিষদসহ উপরমহলের যেন নেক দৃষ্টি পড়ে।