আন্তর্জাতিক

জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে মমতার নানা অভিযোগ

By Daily Satkhira

July 18, 2017

ডেস্ক রিপোর্ট : “সাতক্ষীরা জেলা (বাংলাদেশ) দিয়ে কারা জামায়াতকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে? কারা তাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিচ্ছে? তারা (জামায়াতে ইসলাম) হাসিনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বিরোধী এবং তারা পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো। কিন্তু এই রাজ্যের ভালো মানুষরা এই অপচেষ্টা রুখে দিয়েছিলো। সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে তারা (জামায়াতে ইসলাম) দাঙ্গা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলো।” ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বসিরহাটের দাঙ্গায় বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামির প্রতি অভিযোগ তুলে এমন মন্তব্য করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে ভোটদানের পর এ কথা বলেন তিনি। এমাসের শুরুর দিকে বসিরহাট থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাদুরিয়ায় এক কিশোরের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে স্থানীয় মুসলিমরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠলে দাঙ্গার সুত্রপাত। এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উত্তর চব্বিশ পরগনার অন্যান্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, নেপাল এবং চীনের সাথে সম্পর্কের অবনতির জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতাকে দায়ী করেন মমতা। এরজন্য তার রাজ্যকে ভুগতে হচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। মমতার দাবি, গত কয়েক বছরে ভুটান ও নেপালে চিনের সক্রিয়তা অনেক বেড়েছে। যার ছায়া পড়ছে দার্জিলিঙেও। মমতার হুঁশিয়ারি, ‘‘জেলে পাঠাতে চাইলেও আমরা ভয় পাই না। লড়াই ছেড়ে এক পা-ও সরে আসবে না তৃণমূল কংগ্রেস।’’ গত কয়েকদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে আসছিলেন, বাদুড়িয়া-বসিরহাটের দাঙ্গায় বাইরের লোকর হাত রয়েছে। তবে গতকাল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের সরাসরিই বলেন, ওই দাঙ্গায় বাংলাদেশের জামায়াতের হাত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, তাঁর সরকারের কাছে এই অভিযোগের সমর্থনে তথ্যপ্রমাণও রয়েছে। মমতা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, বিজেপি রাজ্যে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টায় তারা সফল হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। ২০১৪ সালে বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরেই পশ্চিমবঙ্গে জামায়াতের কার্যকলাপ প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই ঘটনার তদন্ত করে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ জানতে পেরেছে যে, ভারতের তিন রাজ্যে জামায়াত তাদের সংগঠন তৈরি করেছিল। রাষ্ট্রপতি পদে মীরা কুমারকে ভোট দেন মমতা। রাজ্যে মোট ২৯৪ জন বিধায়ক। তার মধ্যে ২৮৮ জনই রাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন করেছেন মীরা কুমারকে। বিধানসভায় ভোট দিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস মীরা কুমারকেই সমর্থন করছে। এটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভোট। প্রতিবাদ, প্রতিরোধের ভোট।’’ বিজেপির বিরুদ্ধে সব শক্তিকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, লোকসভায় আসন সংখ্যার জোরে মানুষকে হেয় করছে শাসক দল। ভারতের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র প্রার্থী ও বিহারের সাবেক রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দ এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ’র প্রার্থী, লোকসভার সাবেক স্পিকার মীরা কুমার। আগাম জরিপে এগিয়ে আছেন বিজেপি মনোনীত প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ। তবে ২০ জুলাই ভোট গণনা শেষে জানা যাবে কে হচ্ছেন ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। দেশটির প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ জুলাই। এর পরদিনই শপথ নেবেন নতুন রাষ্ট্রপতি।