কথিত অপহরণের ঘটনায় ফরহাদ মজহার ১৬৪ ধারায় আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছেন তার সঙ্গে তদন্তের কিছু গড়মিল থাকায় তাকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের গোয়েন্দা দপ্তরে নেয়ার পর একজন অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্তদল ফরহাদ মজহারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
আদালতে এবং পুলিশের কাছে দেওয়া তথ্যগুলো যদি সঠিক না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে তাহলে পেনাল কোডের ২১১ ধারায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৩ জুলাই সোমবার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডের ‘হক ভবন’ থেকে স্বাভাবিক হেঁটে বের হন ফরহাদ মজহার। এর কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রী ফরিদা আখতারের মোবাইল ফোনে ফরহাদ মজহার নিজেই জানান, কেউ তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সেসময় তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলেও আশঙ্কার কথাও জানান তিনি।
ফরহাদ মজহার নিয়মিত যে নম্বর ব্যবহার করেন তার বদলে মাঝেমধ্যে ব্যবহার করেন এমন নম্বর থেকে তার স্ত্রীর ফোনে ফোন আসে। তখন প্রয়োজন হতে পারে জানিয়ে ফোনে ফরহাদ মজহার ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা প্রস্তুত রাখতেও বলেন।
এরপর নিখোঁজ লেখক-কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার মোবাইল ট্রাকিংয়ের ম্যাধমে মোবাইলের লোকেশন সনাক্ত করে খুলনার কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব।
পরে সেদিন রাতেই যশোর থেকে উদ্ধার করা হয় ফরহাদ মজহারকে। মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়। এদিন নিজের জিম্মায় আদালত থেকে মুক্তি পেয়ে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।