আমাদের মাঝে মধ্যেই হঠাৎ করে পেটে বা মাথার যন্ত্রণা। আমরা বুঝতে পারি না কি হয়েছে। কিন্তু ডাক্তারের কাছে গেলে তারা বলে দিচ্ছে আপনার তেমন কিছুই হয়নি। কয়েটা ঔষধ খেলেই সেরে যাবে। সারাদিন শরীরে অস্বস্তি বোধ লেগেই রয়েছে। এটার কারণ একটাই হতে পারে, আর সেটা হল কৃমি। কিন্তু পেট ব্যথা আর মাথা যন্ত্রণাই শুধু নয়, আপনার শরীরে যে কৃমি বাসা বেঁধেছে, তা বোঝার জন্য আরও কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে।
কী সেই লক্ষণগুলো? * অস্থিরতা, অকারণে অতিরিক্ত চিন্তা, অবসাদে ভোগা, আত্মহত্যাপ্রবণ হওয়া। * মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার অতিরিক্ত ইচ্ছা। * রক্তাল্পতা এবং আয়রন ডেফিশিয়েন্সি। কৃমি থাকলে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমতে কমতে অ্যানিমিয়া পর্যন্ত হতে পারে। * ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়া, র্যাশ, অ্যাকনে, চুলকুনি ইত্যাদি হওয়া। * গা-হাত-পা ব্যথা। * নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। * মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া। * ঘুমনোর সময়ে মুখ থেকে লালা পড়া। * ফুড অ্যালার্জি। * খিদে না পাওয়া। * মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলে সমস্যা। * অকারণে ক্লান্ত হয়ে পড়া।
* স্মৃতিভ্রম হওয়া।
লক্ষণগুলো পড়ে অনেকেই নিজেদের সমস্যার সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন, কারণ সমীক্ষা বলেছে ৮৫ শতাংশ মানুষের পেটে কৃমি থাকে। কিন্তু কীভাবে মুক্তি পাবেন কৃমির হাত থেকে! ওষুধ নয়, কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতেই কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কাঁচা রসুন: কাঁচা রসুন অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। রসুন প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাংগাস মেরে ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত কুচনো কাঁচা রসুন খান অথবা রসুনের জুস করে খান।
লবঙ্গ: লবঙ্গ কলেরা, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মাকে প্রতিরোধ করতে পারে। এ ছাড়া রোজ লবঙ্গ খেলে ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস, ফাংগাস ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
পেঁপে: পেটের সমস্যা দূর করতে পেঁপের থেকে ভাল কিছু হয় না। যে কোনও ধরনের কৃমি তাড়াতে পেঁপের বীজ শ্রেষ্ঠ। ভাল ফল পেতে পেঁপে এবং মধু খান।
আদা: আদা হজমের সমস্ত রকমের সমস্যা মেটাতে সক্ষম। হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেটে ইনফেকশন, ইত্যাদি দূর করতে আদার জুড়ি মেলা ভার। এই সমস্যাগুলিও কৃমি থেকে তৈরি হয়। তাই এই ধরনের সমস্যা দূর করতে কাঁচা আদার রস খান খালি পেটে।
শশার বীজ: ফিতাকৃমি রুখতে শশার দানা সর্বশ্রেষ্ঠ। শশার দানাকে গুঁড়ো করে নিন। প্রতিদিন এক চা-চামচ করে খান।
কাঁচা হলুদ: কাঁচা হলুদ অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে।