জাতীয়

ইউএনও সালমানকে হেনস্তার তীব্র প্রতিবাদ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

By Daily Satkhira

July 21, 2017

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করার অভিযোগ এনে আগৈলঝাড়ার ভূতপূর্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারেক সালমানের জামিন বাতিল করে তাকে টেনে হিঁচড়ে কোর্ট হাজতে নিয়ে যাওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার সংগঠনটির এক জরুরি সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সংগঠনটির মহাসচিব কবির বিন আনোয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি জামিনযোগ্য অপরাধের সি. আর মামলায় সমনের প্রেক্ষিতে স্বেচ্ছায় হাজির হওয়া ব্যক্তির জামিন নামঞ্জুর করা সম্পূর্ণ নজিরবিহীন। বাদী ও অন্যান্য আইনজীবী একটি কল্পিত বিষয়ের ওপর আদালতে অরাজক পরিস্থিতি ও চাপ সৃষ্টি করে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১৯ জুলাই বুধবার গাজী তারেক সালমান আদালতে উপস্থিত হলে প্রথমে তার জামিন নামঞ্জুর করা হয় এবং তাকে জেল হাজতে নেওয়ার সময় পুলিশ সদস্যরা তার ওপর বল প্রয়োগ করেন এবং তাকে টেনে হিঁচড়ে হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে আদালতের এমন নজিরবিহীন আদেশ দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোসহ পুলিশের অবমাননাকর ও আইন বহির্ভূত আচরণ এবং বাদী ও অন্যান্য আইনজীবীর আদালতে চাপ প্রয়োগের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে ওই সভায়।

সভায় আদালতের দেওয়া এমন আদেশ, পুলিশি আচরণ এবং ‘তথাকথিত নামধারী স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের’ বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

উল্লেখ্য, গাজী তারেক সালমান বর্তমানে বরগুনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ আগৈলঝাড়াতে একই দায়িত্ব পালনের সময় স্থানীয় এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আমন্ত্রণপত্র ছাপিয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনার এক বছর পর বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে আদালতে বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ৫০১ ধারায় মামলা করলে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিষয়টি আমলে নেন। ১৯ জুলাই আদালতে উপস্থিত হওয়ার পরে এসব ঘটনা ঘটে। পরে অবশ্য জামিন পান তিনি।