প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট তালা উপজেলা শাখা। রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে তালা ডাকবাংলা চত্ত্বরে সমাবেশ আনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে তালা উপ-শহরে একটি মিছিল বের হয়। সমাবেশে সভাপত্বি করেন তালা উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টে’র আহবায়ক ও বাকশিস’র জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান। অধ্যাপক নাজমুল হক এর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, তালা উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টে’র যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যক্ষ এনামুল হক, অধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র সাধু, অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম সেলিম,উপাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মোশারাফ হোসেন, অধ্যাপক সরদার নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক নিলুফা ইয়াসমিন, অধ্যাপক এস এম মজিবার রহমান, অধ্যাপক আব্দুল মালেক শেখ ও কর্মচারী ফ্রান্টের তালা শাখার সভাপতি এস এম কায়কোবাদ প্রমুখ। সমাবেশে শিক্ষকরা বলেন, সরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের সাথে আমাদের বেতন বৈষম্য ছাড়াও সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রেও আমাদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরন করছেন সরকার। আমাদের বেতন প্রবৃদ্ধি নেই, উৎসব ভাতায় বৈষম্য, বৈশাখী ভাতা নেই, পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ভাতা নেই, বাড়িভাড়া এমনকি পূর্ণাঙ্গ পেনসনও নেই। দেশের পাঁচ লাখ শিক্ষক কর্মচারী যারা বিরতিহীনভাবে শিক্ষার কারিগর হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা এমন বৈষম্যের শিকার হয়ে আছেন। এ সময় তারা আরো বলেন এমন সব নানা বৈষম্যের মধ্যেও সরকার ঘোষনা দিয়েছেন যে চলতি জুলাই থেকে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর ভাতা থেকে শতকরা ১০ টাকা করে কর্তন করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অচিরেই প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন এতে শিক্ষক কর্মচারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাদের রুটি রুজির ওপর আঘাত পড়বে। কল্যাণ ভাতা ও অবসরের টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে এখনও দেশের ৭০ হাজার শিক্ষক কর্মচারি তালিকাভূক্ত হয়ে সিরিয়ালে রয়েছেন। দিন দিন এই সংখ্যা আরও বাড়ছে। এখন এই ভাতা পেতে কমপক্ষে সাড়ে চার বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও অনুপাত প্রথা ব্যাতিরিকে শিক্ষকদের পদোন্নতি, টাইম স্কেল প্রদান, নন এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভূক্তকরণ, কর্মচারিদের চাকুরিবিধি প্রণয়ন, ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সভাপতি করে বিধিমালা সংশোধন, বেসরকারি প্রধান শিক্ষকদের সরকারি সহকারী শিক্ষকদের ন্যায় স্কেল প্রদান, কারিগরি ও সাধারণ শিক্ষার বৈষম্য দুরীকরণ, পরিক্ষা পদ্ধতির সংস্কার ও শিক্ষা উপকরণের মূল্য হ্রাস, শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।