আশাশুনি

আশাশুনি থানাঘাটা ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত

By Daily Satkhira

July 23, 2017

মোস্তাফিজুর রহমান : আশাশুনিতে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নদীর পানি ভিতরে প্রবেশ করে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শনিবার ভোর রাতে এ ভাঙ্গনের কোবলে পড়ে উপজেলা শ্রীউলা ইউনিয়নে থানাঘাটা এলাকার মানুষ। প্রাপ্ত তথ্যে ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিরের মাথে কথা বলে জানাগেছে, ইউনিয়নের থানাঘাটা এলাকায় ওয়াপদা বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন যাবত বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছিল। এব্যাপারে উপজেলা প্রশাষন ও ওয়াপদা কর্মকর্তাদের অবহিত করলেও কোন ব্যাবস্থা না নেওয়ার কারনে রবিবার ভোর রাতে খোলপেটুয়া নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে থানাঘাটা গ্রামের ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে দ্রুত গতিতে ভিতরে পানি প্রবেশ করে ২/৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও ওয়াপদা কর্মকর্তাদের অবহিত করলেও এখনও কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এলাকায় মাইকিং করে সেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যসহ ইউনিয়নবাসী এক হয়ে ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁধ রক্ষায় কাজ অব্যহত আছে। এ বর্ষা মৌসুমে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্র্ণ হয়ে পড়ায় যে কোন সময় ভেঙে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ফাবনা থেকেই গেছে। কোন বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে উপজেলাবাসিকে প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা উচিত। অপরদিকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জানা গেছে, অপরিকল্পিতভাবে চিংড়ি ঘের করার কারণে ড্রেনের ব্যাবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ায় ও সেগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টানা বর্ষণে উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়েছে। আশাশুনি থানা সড়কের প্রধান ফটোকে আশাশুনি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে সড়কটিতে সব সময়ের জন্য পানিতে ডুবে আছে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। পানিতে ডুবে থাকা সড়কটি দিয়ে দিনের পর দিন বিভিন্ন জানবাহন দ্রুত গতিতে চলতে গিয়ে কাঁদাপানি ছিটকে নষ্ট করে দিচ্ছে স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের গাঁয়ের পোষাক। এসব মানুষের একটি অভিযোগ আশাশুনি এমপি উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ অন্যান্য জন প্রতিনিধি এ সড়ক দিয়ে কখনও চলাচল করেন না নাকি চলাচল করলেও এ সড়কের দূর অবস্থা কী চোখে পড়ে না। আর যদিও চোখে পড়ে থাকে তাহলে মানুষের কেন এই চরম ভোগান্তি। আরও অভিযোগ রয়েছে এ সড়কটির যখন পূর্ণ সংস্কার করা হয়েছিল তখন বালি ও খোয়া কম দেওয়ার কারনে হইত ভারি যানবহন চলাচলের কারণে সড়কের দুই পাশে বসে গিয়ে সড়কটির মাঝখানে উচা হয়ে যাওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে থাকা সড়ক দিয়ে অতি কষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষের। সচেতন মহলের দাবি উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলি কোন অঘটন ঘটার আগেই মেরামত করাসহ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।