বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু সাতক্ষীরার মুক্তা মনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় চলতি মাসের নয় তারিখে। ব্যথায় কাতরানো সেই মুক্তা মনির হাতের পোকাগুলো কামড়ানো বন্ধ হয়েছে বলে জানান তার বাবা ইব্রাহীম হোসেন।
তিনি বলেন, তুলোনামূলক ভাবে আমার মেয়ে আগের থেকে একটু সুস্থ। ব্যাথা কমেছে, কিন্তু যখন রক্ত দেয় তখন ব্যাথা আবার বাড়ে। রক্ত দেওয়ার সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মনি মুক্তা ব্যাথায় কাতরাচ্ছে। মুক্তার চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমাদের চোখে এখনো ভালো নাই। কোন কিছুই বলা যাচ্ছেনা। আমাদের যা কিছু করার আমরা করছি, এখন বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন। অপারেশনের কথা জানতে চাইলে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মুক্তার শারীরিক উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অপারেশনের কথা ভাবাই যাবেনা।
মনি মুক্তার বাবা বলেন, সাহায্য সবাই করছে, এখন সবাই আমার মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন। ও যেন সুস্থ হয়ে স্কুল যেতে পারে হিরা মনির সাথে।
সম্প্রতি মুক্তামনির এই বিরল রোগ নিয়ে ডেইলি সাতক্ষীরাসহ দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাকে ঢাকায় নিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি। এরপর মুক্তামণির চিকিৎসার দায়ভার গ্রহণ করেনে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
সকাল বিকাল মুক্তাকে দেখতে আসেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডাক্তাররা। একে একে ঘুরে যাচ্ছেন মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরাও। শিশু মুক্তামনির বাবা সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেন। তার দেশবাসীর কাছে একমাত্র চাওয়া সবাই যেন আমার অসুস্থ মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে নামাজান্তে দোয়া করে। আমি যেন আমার মেয়েটাকে আবারও সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে ফিরে পাই। এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।