ভারতের রানে চাপা পড়ার পর দ্বিতীয় দিনেই বিপদের আভাস মিলেছিল। তৃতীয় দিনে সেটি হাঁসফাঁস করা অবস্থায় যেয়ে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার জন্য। দুই দিন আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯৮ রানের লিড নিয়ে ফেলেছে ভারত। বাস্তবতা কিংবা ক্রিকেট ইতিহাস, যেকোনো দিক থেকে দেখলে স্বাগতিকদের পিষ্ট করার মঞ্চই সাজিয়েছে সফরকারীরা।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ২৯১ রানে অলআউট করে দিয়ে ৩০৯ রানের লিড নিয়েছিল ভারত। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে না পাঠিয়ে নিজেরাই ব্যাটিংয়ে নেমে পড়েছেন বিরাট কোহলিরা। দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৮৯ রান সংগ্রহ তাদের। চতুর্থদিনে রানের বোঝা আরো কতটা বাড়িয়ে ইনিংস ঘোষণা করেন কোহলি সেটাই এখন দেখার। প্রথম ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৬০০ রানের।
ইনিংস ঘোষণার আগে দ্রুত কিছু রান তোলার পাশাপাশি কোহলি হয়তো আশা রাখছেন নিজের আরেকটি শতকেরও। ৭৬ রানে অপরাজিত আছেন। এই পথে অভিনব মুকুন্দকে নিয়ে ১৩৩ রানের জুটি গড়েছেন। মুকুন্দ ফিরেছেন ৮১ রানে।
প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান শেখর ধাওয়ান ১৪ ও চেতেশ্বর পূজারা ১৫ রানে ফিরেছেন।
গলে শুক্রবার সকালে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে উইকেটে আসে লঙ্কানরা। ফলোঅন এড়াতেই আরও ২৪৭ রান দরকার ছিল। হাতে খাতা-কলমে ৫ উইকেট থাকলেও বাস্তবে ছিল ৪টি! আঙুলের চোটের কারণে ব্যাট করতে পারেননি অ্যাসেলা গুনারত্নে। পুরো সিরিজের জন্যই মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
তবে ভরসা হয়ে থাকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংসটাকে ৮৩ রানে টেনে নিলে কিছু রান পায় লঙ্কানরা। সদ্য সাবেক হয়ে পড়া অধিনায়কের অপরাজিত সঙ্গী দিলরুয়ান পেরেরা ৬ রানের ইনিংসটাকে ৯২ পর্যন্ত টেনে নিয়েছেন। তাকে অবশ্য আউট করতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা। সঙ্গীর অভাবে ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আফসোস নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে।
ভারতের হয়ে রবীন্দ্র জাদেজা ৩টি, মোহাম্মদ সামি ২টি উইকেট নিয়ে সেরা। একটি করে উইকেট গেছে উমেশ যাদব, রবীচন্দ্র অশ্বিন ও হার্দিক পান্ডিয়ার দখলে। চতুর্থ বা পঞ্চমদিনে তাদের সামনে সুযোগ থাকছে লঙ্কানদের দ্বিতীয় ইনিংসের উইকেটগুলো নিয়ে কাড়াকাড়ি করার!