ডেস্ক রিপোর্ট : ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কাজীর রাস্তা এলাকায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে বাবা-মেয়েসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পরিবারটির বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায়। মর্মান্তিক এ ঘটনার খবরে শ্যাগনগরের মানুষ শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে।
নিহতরা হলেন শ্যামনগর কৈখালী ইউনিয়নের কাঠামরী গ্রামের মোঃ আঃ করিম গাজী (৭০) ও তার প্রবাসী মেঝ কন্যা মছাঃ খাইরুন বিবি(৩০) এসরাফিলের ছেলে মোঃ নাজমুল হোসেন (২২) ও তার স্ত্রী (১৮), মাইক্রোবাসের চালক আনিসুর রহমান (২৫) ও তাঁর ভাগনে জাহিদ হাসান (১৮)। আহতরা হলেন মোঃ খাইরুল( ১৫), সাইফুিদ্দন( ১২) আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বেনাপোল থেকে শ্যামলী পরিবহনের ঢাকাগামী বাসটি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরাগামী একটি মাইক্রোবাসকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই খাইরুন বিবি নিহত হন। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পরাণপুরে।
দুর্ঘটনায় আহত খাইরুন বিবির ছেলে আবুল খায়ের জানান, তাঁর মা ওমানপ্রবাসী। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ঢাকায় আসেন। মাকে নিয়ে মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় তাঁর আরেক ভাই সাইফুদ্দিনও আহত হন। তাঁরা দুই ভাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
করিমপুর হাইওয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) নওশের আলী জানান, শ্যামলী পরিবহনের বাসটি ভুল দিক থেকে এসে এই দুর্ঘটনা ঘটায়।
ফায়ার সার্ভিস মাইক্রোবাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ফরিদপুর দমকল বাহিনীর স্টেশন ম্যানেজার মো. সাইফুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে খায়রুন বিবি, আসিফা বেগমসহ তিনজন মারা যান। বাকি তিনজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ ফরিদপুর মেডিকেলের মর্গে আছে।
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছেন।