প্রেসবিজ্ঞপ্তি : আট বছর আগে বায়না করলেও জমির মালিক ওয়াদা অনুযায়ী জমি রেজিস্ট্রি করতে টালাবাহানা করছেন। আজ না কাল, কাল না পরশু এভাবে দীর্ঘদিন কাটিয়ে এখন বলছেন জমি রেজিস্ট্রি হবে না, টাকাও ফেরত হবে না। একজন গ্রাম পুলিশ এই অভিযোগ করে বলেন তিনি গরিব মানুষ। জমি কেনার টাকা দিয়ে এ কুল ও কুল দুকুলই হারিয়েছি বলে উল্লখ করেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পাটকেলঘাটার ওমরপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ মো. আবদুল মজিদ। তিনি বলেন পারিবারিক কারণে তিনি কয়েক বছর আগে কলারোয়া উপজেলার শুভংকরকাটি(গোগ)গ্রামে বসবাস শুরু করেন। সেই সুবাদে তিনি শুভংকরকাটি মৌজার ১৪ টি দাগে পাঁচ বিঘা জমি ক্রয়ের জন্য চার লাখ আশি হাজার টাকা বায়না করেন। ওই গ্রামের রহিমবক্স গাজির ছেলে জমির মালিক মতিয়ার রহমান, আতিয়ার রহমান, অজিয়ার রহমান, মশিয়ার রহমান ও নাজমুল হুদার কাছে এই টাকা নগদ প্রদান করেন তিনি। একটি স্ট্যাম্পে লেখালেখি ও স্বাক্ষর করে এই টাকা লেনদেন হয় বলে জানান তিনি। এতে স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে সাক্ষী হন শুভংকরকাটির ছবেদ আলি ছেলে আবদুল হাই ও তুলশীডাঙ্গা গ্রামের নুর আলির ছেলে সামছুর রহমান। তারা এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন বলে জানান মজিদ। আবদুল মজিদ জানান স্ট্যাম্পে স্বক্ষর করে বায়না পত্র তৈরির পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও মতিয়ার গং জমি রেজিস্ট্রি করে দেন নি। রেজিস্ট্রির কথা বললে তারা নানাভাবে টালবাহানা করতে থাকেন। এমনকি টাকা ফেরত চাইলেও তারা মারমুখী হয়ে উঠছেন। তারা আমার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি জানান জমি না পেয়ে তার ছেলেমেয়েরা এখনও ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন তারা তার ছেলে রাজু আহমেদকে মারধর করার হুমকি দিচ্ছেন। এমন কি তাকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন তারা। আবদুল মজিদ বলেন এসব কারণে তাদের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন বিবাদীদের কয়েক আত্মীয় ভারতের মুম্বইতে বসবাস করেন। বছরে একবার করে দেশে ফিরে এসে তারা তার ছেলেদের ওপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ করেন আবদুল মজিদ। অসহায় গ্রাম পুলিশ আবদুল মজিদ হয় জমি না হয় বায়নার টাকা ফেরত চেয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি সাতক্ষীরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।