আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় মাল চুরির অপবাদ সইতে না পেরে এক দোকান কর্মচারির আত্মহত্যা করেছে। আত্মহননকারী দোকান কর্মচারীর নাম আবদুল আলিম (৩২)। সে শহরের পলাশপোলের বউ বাজার এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। জানা গেছে, দোকান মালিক লাল্টু মেটাল এর স্বত্বাধাকারী লাল্টু তার কর্মচারী আলিমকে বলেন, তোর কাছে ৩০ হাজার টাকা পাবো। দোকানের মাল চুরি বাবদ আরও ৩০ হাজার টাকা। এই মোট ৬০ হাজার টাকা তোর কাছে পাবো। এই টাকা না দিলে তোর খবর আছে বলে দোকান মালিক হুমকিও প্রদান করেন। এ ঘটনা নিয়ে সোমবার আবদুল আলিমের সাথে দোকান মালিক লাল্টুর তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তাকে চুরির অপবাদ দিলে এই অপবাদ সইতে না পেরে গলায় রশিতে ঝুলে আত্মহননের পথ বেছে নেয় আব্দুল আলিম। আলিমের বাবা আবদুর রহমান বলেন, কাজের আগাম অর্ডার হিসাবে আলিমের কাছে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল দোকান মালিক লাল্টু। সময় মতো কাজ টাকা কোনোটিই দিতে পারছিল না সে। আমি দোকানে যেয়ে লাল্টুকে স্ট্যাম্পে লিখে দিয়ে এসেছি, সত্ত্বরই পাওনা টাকা দিয়ে দেব। তাতেও মন গলেনি তার। অবশেষে ছেলেটিকে চুরির অপবাদ দিলো’। আর এই অপবাদ সহ্য করতে না পেরে ছেলেটি আত্মহত্যা করলো বলে জানান তিনি। আবদুল আলিমের স্ত্রী নার্গিস খাতুন জানান, চুরির অপবাদ শুনে বাড়ি এসে মন খারাপ করে বসেছিল আলিম। আমি তাকে অনেক বুঝিয়েছিলাম। তারপরও আমাদের সবার অজান্তে বাড়ির একটি নির্মানাধীন ঘরে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে আবদুল আলিম। সাতক্ষীরা সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন। তিনি জানান লাশের ময়না তদন্ত হবে । চুরির অপবাদ দিয়ে আবদুল আলিমকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তের ব্যাপার। লাল্টু তার দোকান বন্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছে। তার মোবাইলও বন্ধ। তদন্তে প্রমান পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আরো জানান।