আশাশুনি ব্যুরো : সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং এর ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আশাশুনি উপজেলাবাসী। আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চলছে পল্লী বিদ্যুতের বিরামহীন লোডশেডিং। আর একারণে প্রতিনিয়ত অসুস্থ্য হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধসহ সকল শ্রেনীর মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে উঠে আসা একাধিক অভিযোগ জানাগেছে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রতিটি অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করার জন্য একটি করে মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেখেছে সমিতি। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হলে সে মোবাইল নাম্বার আর খোলা পাওয়া যায় না অথবা খোলা থাকলেও তা রিসিভ করার মত কাহকে পাওয়া যায় না। অন্যদিকে বহুবার চেষ্টা করার পর মোবাইল রিসিভ হলেও তাদেও থেকে ভালো ব্যবহার বা সমস্যা সমাধানের কোন সদ উত্তর পাওা যা না। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে জেলার কোথাও আশাশুনির মত ভয়াবহ লোডশেডিং নাই। এখন সচেতন মহলের প্রশ্ন কেন হয় আশাশুনিতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং? দিনে অথবা রাতে আকাশ মেঘলা, হালকা বৃষ্টি নামলেই শুরু হয় লোডশেডিং। কোন কোন দিন সন্ধ্যায় লোডশেডিং শুরু হলে রাতভর চলে এ লোডশেডিং। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার নি¤œ আয়ের দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। বাংলাদেশের সাদা সোনা রপ্তানির রাজস্ব আদায়ের একটি অন্যতম জেলা সাতক্ষীরা। আর এ জেলা সহ আশাশুনি উপজেলায় যদি এমনি ভাবে লোডশেডিং চলতে থাকে তবে এ উপজেলার কর্মজীবী মানুষ কোনদিন দেশের জন্য উন্নয়ন করতে পারবে না, বলে মনে করছেন শিক্ষিত সমাজ। কেন এত বেশী আশাশুনিতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং জানতে চাইলে আশাশুনি পল্লী বিদ্যুতের এজিএম স্বপন কুমার পাল বলেন লোডশেডিং একটি জাতীয় সমস্যা। আমরা সাতক্ষীরার বিনেরপোতা কেন্দ্র থেকে যে পরিমান বিদ্যুৎ পাই, সেরকমই বিদ্যুৎ সরবরাহ করি। দেশের অন্যান্য জেলায় লোডশেডিং এক প্রকার হয়ই না, আশাশুনিতে কেন এত বেশী জানতে চাইলে তিনি বলেন সিডিউল অনুযায়ী আশাশুনির জন্য আমরা ৩ থেকে ৪ মেগাবাইড বিদ্যুৎ পাই। অন্য জেলায় তারা সিডিউল অনুযায়ী যদি বিদ্যুৎ বেশী পায় তবে কেন তাদের লোডশেডিং হবে? সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং এর হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রসাশকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আশাশুনিবাসী।