নিজস্ব প্রতিবেদক : কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকায় এঘটনা ঘটে। ১৭ জুলাই দুপুরে এঘটনায় ৩ জন আটক হলেও ২ জন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। অপহৃতের পিতা আনন্দ কর্মকার জানান, তাদের বাড়ি শহরের রাজারবাগান এলাকায়। তার কন্যা সঞ্চিতা কর্মকার দোলা(১৪) সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। সঞ্চিতা প্রতিদিন পায়ে হেটে স্কুলে যাতায়াত করতো। এদিকে আমার কন্যার উপর কু’নজর পড়ে ধুলিহর গোবিন্দপুর এলাকার দেবেন দাসের ছেলে সবুজ দাসের। সবুজ তার কন্যার যাতায়াতের সময় তার পথ আটকিয়ে উত্যক্ত ও কু প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু তার কন্যা সবুজের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১৭ জুলাই স্কুল বের হওয়ার পর সবুজ কৌশলে সঞ্চিতাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে তার মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। মেয়ের সন্ধান পেতে তিনি ২৬ জুলাই গোবিন্দপুর এলাকার দেবেন দাসের ছেলে সবুজ দাস, মৃত পাগল দাসের ছেলে দেবেন দাস, দেবেন দাসের স্ত্রী কনিকা দাস ও মৃত বৈদ্যনাথের ছেলে সুফল দাসের নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় পুলিশ সুফল দাস, কনিকা দাস ও দেবেন দাসকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কিন্তু আদালতের মাধ্য সুফল দাস ও কনিকা দাস জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদিকে ঘটনার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও সঞ্চিতার কোন সন্ধান পায়নি তার পরিবার। অথচ আসামিরা জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এঘটনায় অবিলম্বে দোষীদের তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপহৃত কন্যার সন্ধান পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আনন্দ কর্মকার।