নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দুরে আশাশুনি উপজেলার বড়দল শিববাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বেহাল-দশা। দীর্ঘ দিন ধরে এ বিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা চলে জরাজীর্ণ অবস্থায়। বিদ্যালয়টি ১৯৬৩ প্রতিষ্ঠিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টির অভাবে আজও নির্মাণ হয়নি সেখানে পাকা বিল্ডিং, নেই কোন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও আলো বাতাস। মাটির দেয়ালে তৈরী করা ঘরে করুণ অবস্থায় চলছে এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম। প্রায় ২শ ছাত্র/ছাত্রী এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে । দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান কর্মসূচি চললেও উধর্ক্ষতন কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করে আসছেন। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার মন্ডল জানান, তিনি আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন শেষে সাতক্ষীরার উদ্দ্যেশ্য রওনা হওয়ার সময় পথিমধ্যে দেখতে পান রাস্তার পাশে মাটির দেয়ালে তৈরী পুরাতন টিনের ঘরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাশ চলছে। গাড়ি থামিয়ে তিনি বিদ্যালয়টি দেখতে যান । বিদ্যালয়টি দেখার পর তিনি জানান, মাটির দেয়ালের ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাশ চলছে। সেখানকার শ্রেণী কক্ষের অবস্থা খুবই করুণ। বিদ্যুৎ নেই, আলো বাতাসের চলাচল নেই। অথচ সেখানে কোমলমতি ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে। প্রায় দুইশত ছাত্রছাত্রী রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। বিদ্যালয়ের নাম ৬৩ নং বড়দল শিববাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থাপিত ১৯৬৩ সাল। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়টি দেখে প্রচন্ড কষ্ট পেলাম। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে- কিন্তু বিদ্যালয়ের এ অবস্থা কেন ? তিনি এ সময় সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুজ্জামান জানালেন, ভবন নির্মানের জন্য অনেক বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও কোন কাজ হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টির খুবই নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্ষার সময় চারি দিক থেকে পানি পড়ে রুমের ভিতরে। যে কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানেও খুবই ব্যাঘাত ঘটে।