সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকের সোনা গায়েব!

By daily satkhira

August 03, 2017

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতে পাচারের নামে ৬০ ভরি সোনা গায়েব করে দিয়েছে সাতক্ষীরার তলুইগাছার সোনা বাহক জিয়ারুল ইসলাম। এ ঘটনায় তার একদিনের কারাবাস হয়েছে। তবে গায়েব হওয়া সোনা উদ্ধার হয়নি। সোনার মালিক ভারতের ২৪ পরগনা জেলার স্বরুপনগর থানার আমুদিয়া গ্রামের বাপ্পা। তিনি তার সোনা অথবা তার পরিবর্তে টাকা ফিরে পেতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে সোনা গায়েবকারী জিয়ারুল ইসলাম জানান ‘তিনি ভারতের বাপ্পার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে সোনা নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ফুটো থলে থেকে তা পড়ে হারিয়ে যায়’। এ খবর জানাজানি হলে ‘বাপ্পা ও তার বাংলাদেশি সহযোগীদের তোপের মুখে আমি মাস তিনেক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ছিলাম। হঠাৎ খবর পেয়ে সাতক্ষীরা থানার পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে। একদিন পর অবশ্য আমি আদালতের নির্দেশে ফিরে এসেছি’। ‘বড় জায়গা থেকে আমার পক্ষে ফোন এসেছিল। তাই কোনো টাকা ঘুষ লাগেনি’। ভারতীয় নাগরিক বাপ্পার ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে জানা গেছে মাস তিনেক আগে বাহকরা ৬০ তোলার ৬ পিস সোনা তার কাছে দিয়ে যায়। সীমান্ত পার করে এই সোনা বাপ্পার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। দুই দেশের নাগরিক হলেও বাপ্পা ও জিয়ারুলের বাড়ি খুব কাছাকাছি। সীমান্তের একই আইলে তাদের জমিও রয়েছে। ফলে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে। বাপ্পা মাঝে মাঝে পাসপোর্টে অথবা বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে সে ভারতে সোনা পাচার করে থাকে। সেই সুবাদে সে টাকার তাগিদ দিতেও আসে বাংলাদেশে। সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই ইউসুফ আলি জানান ‘জিয়ারুলের বিরুদ্ধে আমরা চোরাচালানের অভিযোগ পেয়েছিলাম। ২৯ জুলাই তাকে ধরেও এনছিলাম। কিন্তু অভিযোগের প্রমান মিলাতে না পারায় আমরা তাকে ৩৪ ধারায় আদালতে পাঠাই। আদালতের নির্দেশে জিয়ারুল বাড়ি গেছে’ বলে জানান তিনি। স্থানীয় বাঁশদহা ইউনিয়নের সদস্য আবদুস সামাদ জানান ‘জিয়ারুল বাপ্পার সোনা মেরে দিয়েছে বলে খবর পেয়েছিলাম। পরে জানলাম পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে। ওর মা আমাকে অনুরোধ করে বলেছিলেন ছেলেটিকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে। একদিন পর দেখি সে আদালতের নির্দেশে বাড়ি এসেছে’। একই কথা জানান ওই এলাকার যুবলীগ সভাপতি আবদুল খালেক। তিনি বলেন ‘ আমিও ওর সোনা গায়েবের খবর শুনেছি। এ নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপাড় হয়েছিল। জিয়ারুল পালিয়েছিল। পরে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়’। পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলি আরও জানান ‘ সোনা গায়েবের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল না। তবে চোরাচালানের অভিযোগ পেয়ে গ্রেফতার করা হয় তাকে’। সোনা গায়েবের বিষয় জানতে জিয়ারুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে ‘ তিনি বলেন আমি ইচ্ছা করে সোনা গায়েব করিনি। আমার ফুটো ব্যাগ থেকে তা পড়ে হারিয়ে গেছে’।