নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষিকাসহ নয়টি বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব বাছাইয়ের ফল বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-কর্মচারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটি সভা করে ফল বাতিল করে। এর আগে ২৪ জুলাই ১৪ সদস্যে কমিটির মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বাছাই সম্পন্ন করেন। পরে অনুপস্থিত তিনজনকে দিয়ে বাছাইয়ের চূড়ান্ত তালিকায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়। বুধবার পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার কমিটির এক সভায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকাসহ অন্যান্য বিষয়ের ফল বাতিল করা হয়। ২ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-কর্মচারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটি সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-কর্মচারী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাই কমিটি সভা ডাকা হয় ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়Ñ কোরাম সঙ্কট থাকায় এবং সময় স্বল্পতার কারণে ২৪ জুলাই করা তালিকা অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে ৩ আগস্ট দুপুর ১২টায় জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সাতক্ষীরা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে তার অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাতক্ষীরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই সদর উপজেলা নির্বাহীর কর্মকর্তার দপ্তরে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকাসহ অন্যান্য পদে বাছাই হয়। শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচন হওয়ার জন্য তিনজন আবেদন করেন। শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচন হন দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা শাহনাজ। বাদ পড়া দুইজন রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা ফরিদা খাতুন ও তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা সুলতানা অভিযোগ করেন, ১৪ সদস্যের নির্বাচন বোর্ডে ইউএনও মোহাম্মদ নূর হোসেন ও সদস্যসচিব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ছাড়া কেউ উপস্থিত ছিলেন। অথচ বাছাইয়ের চূড়ান্ত নথিতে সই করানো হয়েছে পাঁচজনের। বাছাই বোর্ডের তালিকার স্বাক্ষর রয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুফ আহমেদ, ইউআরসি (উপজেলা রিসোর্স সেন্টার) ইনস্ট্রাক্টর জয়দেব ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আবুল হোসেন। তারা বলেন, তারা কেউ বাছাই কমিটির ২৪ জুলাই সভায় উপস্থিত ছিলেন না। পরে তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাছাই কমিটির তিনজন সদস্য জানান, ২৪ জুলাইয়ের সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করতে কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে চিঠি দেওয়া হয়নি। ইউএনও মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল ২৪ জুলাই সভা সম্পর্কে বলেছিলেন, তার সভাপত্বিতে সভা হয়েছিল। কয়েকজন এটিও ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিতদের চূড়ান্ত তালিকায় স্বাক্ষর না থেকে অন্যদের স্বাক্ষর রয়েছে কেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলতে পারবেন। জানতে চাইলে সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ২৪ জুলাইয়ের সভায় কোরাম সঙ্কট ছিল। বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হওয়ায় আগের ফল বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে সভা করে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার নয়টি পদে বাছাই করবেন।