আসাদুজ্জামান : “আমার নামে পাটকেলঘাটা থানাসহ জেলার কোথাও কোনো মামলা নেই, এমনকি অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরিও নেই। অথচ পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ আমাকে মাদক, জঙ্গি ও নাশকতার মামলায় ঢুকিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে। এমনকি উপরের অর্ডারে আমাকে ক্রসফায়ারে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ভয়ে আমি বাড়ি থেকে ১৫ দিন ধরে পালিয়ে আছি। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ সব কথা জানিয়েছেন পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী বাবা রুহুল কুদ্দুসের ছেলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ মাগফুর রহমান। তিনি বলেন, পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ আমার কাছে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আমি তা দিতে রাজি হইনি। এ জন্য আমাকে শান্তিতে বাড়িতে থাকতে দেবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে ওই টাকার জন্য পুলিশ আমার বাড়িতে দুই দফা এসে হানা দিয়েছে। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই ২৫ হাজার টাকা নিয়ে থানায় যাবার কথা বলা হলেও আমি যাইনি। তিনি বলেন এর পর ২৩ জুলাই বিকালে নগরঘাটা পুলের বাজার হতে আমার ডায়াং ৮০ সিসি মোটর সাইকেলটি পুলিশ নিয়ে গেছে। এ জন্য থানায় স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে পাঠানো হলে পুলিশ জানিয়েছে ২৫ হাজার টাকা দিলে পর সেটি ফেরত দেওয়া হবে। তিনি এসব ঘটনায় জড়িত দুই পুলিশ অফিসারের নাম উল্লেখ করে বলেন তারা হলেন পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উজ্জ্বল কুমার বৈদ্য ও উপপরিদর্শক পীযুষ কান্তি। মাগফুর তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপ-পরিদর্শক পীযুষ কান্তি বলেন ‘মাগফুর রহমানের অভিযোগ সত্য নয়। তার বিরুদ্ধে ফেইস বুকে আপত্তিকর ও অশ্লীলতা বিষয়ক একটি লিখিত অভিযোগ আসে থানায়। এ অভিযোগ পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে উজ্জ্বল স্যারের নেতৃত্বে আমরা ৭/৮ জন পুলিশ সদস্য মাগফুরের বাড়িতে যাই। এসময় অভিযোগের সত্যতা প্রমানের জন্য আমরা তার ল্যাপটপ ও অ্যানরয়েড মোবাইল চেক করতে চাইলে তিনি অসহযোগিতা করেন। পরে আমরা সেখানে উপস্থিত লোকজনকে পরদিন ল্যাপটপ ও মোবাইল নিয়ে থানায় আসতে বলি। কিন্তু তিনি আসেন নি। এর কয়েকদিন পর নগরঘাটা পুলের বাজার এলাকায় পুলিশ একটি মোটর সাইকেল পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় নিয়ে আসে। এই মোটর সাইকেল নিতে তিনি থানায় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে পাঠান। আমরা টাকা নেই নি। শুধু বলেছি টাকা নয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় এলে গাড়ি তাকে দিয়ে দেওয়া হবে। ২৫ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ কিংবা ক্রস ফায়ার বা কোনো মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন পুলিশের উপ-পরিদশূক পীযুষ। তবে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২৫ হাজার টাকা না দিলে মোটর সাইকেল ফেরত দেওয়া হবে না বলে পুলিশআমাকে জানিয়েছে। তিনি বলেন মাগফুর ভাল ছেলে। তার বাবা কুয়েত থাকেন, এ কারণেই পুলিশ তার পিছে লেগেছে।