জাতীয়

সিদ্দিকুরের চোখে পুলিশের টিয়ারশেলই লেগেছে : পুলিশ

By Daily Satkhira

August 07, 2017

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় টিয়ারশেলই (কাঁদানি গ্যাস) তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুরের চোখে লেগেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। এই ঘটনায় সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় চোখে গুরুতর আঘাত লাগে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানের। ঘটনার পর প্রথমে তাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এবং পরবর্তীতে সরকারি খরচে চেন্নাই পাঠানো হয়।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের দেখানো ভিডিও ফুটেজে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল লেগে সিদ্দিকুরের পড়ে যাওয়ার চিত্র দেখা গেলেও বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ঘটনার অধিকতর তদন্তে পৃথক দুটি কমিটি তৈরি করা হয়। এদের মধ্যে একটি কমিটি ইতোমধ্যে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। প্রতিবেদনটি সোমবার সকালে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার কাছে জমা দেয়ার কথা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সুপার (এসপি) সমমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষে পুলিশের চড়াও হওয়ার ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর আলী বিশ্বাস ও পরিদর্শক (অভিযান) আবুল কালাম আজাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এছাড়াও সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের বিভিন্ন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে পুলিশের দাঙ্গা দমন বিভাগের (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পাঁচ কনস্টেবলের আক্রমণাত্মক ভঙ্গি লক্ষ্য করা গেছে। কমিটি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) আশরাফুল আলম।

এ ঘটনায় পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রশাসন) নাবিদ কামাল শৈবালকে প্রধান করে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় চেয়েছে।

আহত সিদ্দিকুর বর্তমানে ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে চিকিৎসাধীন। গত শুক্রবার তার অপারেশন করা হয়। শনিবার তার চোখের ব্যান্ডেজ খুললে বাম চোখে কিছুটা আলো দেখতে পান তিনি। তবে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসেনি। তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসা না আসার ব্যাপারে আরও দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ভারতের চিকিৎসকরা।