ঘুষের টাকাসহ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে গফরগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গফরগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম, কর্মচারী উত্তম কুমার ও সিদ্দিকুর রহমান। গ্রেপ্তারের সময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঘুষের আট হাজার টাকা পাওয়া যায়। পরে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুদক আরও ১ লাখ ৩৩ হাজার ঘুষের টাকা জব্দ করে।
দুদকের ময়মনসিংহ কার্যালয় ও গফরগাঁও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রিক বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অধীনে গফরগাঁও উপজেলার সব বিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। গত জুন মাসে এ লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করে। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম কোনো কারণ না দেখিয়েই সব আবেদন বাতিল করে দেন। পরে তিনি শিক্ষকদের কাছে আবেদন অনুমোদনের জন্য ১০ হাজার করে টাকা দাবি করেন। ঘুষ হিসেবে টাকা দাবির বিষয়টি কয়েকজন শিক্ষক দুদকে অভিযোগ করেন। এরপর থেকে দুদক গোপনে বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে।
আজ দুদক খবর পায়, আনোয়ারুল ইসলাম ওই প্রকল্প অনুমোদনের জন্য একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষের টাকা নিয়েছেন। খবর পেয়ে বিকেলে দুদকের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় আনোয়ারুল ইসলাম ও ওই দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
দুদকের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আনোয়ারুল ইসলামের কার্যালয়ে ওই প্রকল্পের নাম ও টাকার অঙ্ক লেখা তিনটি খামও পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার ওই দুই কর্মচারীও ঘুষ গ্রহণের সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও বলেন, দুদকের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে আটক তিনজনের নামে গফরগাঁও থানায় মামলা করেছেন।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের থানায় রাখা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।