নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা শিশু পরিবারের এতিম শিশুদের উপর দীর্ঘদিন চলা যৌন শারিরীক ও মানষিক নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেছেন। তদন্তে একজনকে সাসপেন্ড ও বিভাগীয় মামলার সুপারিশ, তিনজনকে বদলি, শিক্ষক ও বাবুর্চিকে জেলার বাহিরে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর শিশু পরিবারের কর্মাচারি ও যৌন নিপীড়নকারী কর্মচারি বিমান বৈরাগীকে সাসপেন্ড ও বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া কর্মচারি তানভির হোসেন, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কৌশিক ফারহানকে জেলার বাহিরে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া বাবুর্চি ও শিক্ষক মোস্তফা নুরুজ্জামানকে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আরো ও বলেন, খাদ্যের যে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে সেখানে শিশু পরিবারের যে কমিটি আছে তারা যখন তখন তদন্ত করতে পারবেন। এবং জেলা প্রশাসক প্রতি এক মাস অন্তর তদন্ত করবেন। এবং জেলা শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে একজন ভালো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, শিশু পরিবারের ভিতরে ১৮ বছরের বেশি বয়সী কিছু ছাত্র আছে তাদেরেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া কিছু অতি উৎসাহী ছাত্র শিশু পরিবারের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মারধর করেছে তাদেরকে বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ৩০ জুলাই রাতে শিশু পরিবারের শিশুরা একত্রিত হয়ে যৌন নির্যাতন, মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন এবং নি¤œমামের খাবার সরবরাহের অভিযোগে শিশু পরিবারের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মারধর করে।