চ্যাম্পিয়নস লিগের পর উয়েফা সুপার কাপেও শিরোপা নিজেদের হাতে রেখে দিলো রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৯০ সালে এসি মিলানের পর প্রথম কোনও দল টানা দ্বিতীয়বার এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলো। মঙ্গলবার মেসিডোনিয়ার স্কোপজের দ্বিতীয় ফিলিপ স্টেডিয়ামে রিয়াল ২-১ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে।
২০০২, ২০১৪ ও ২০১৬ সালের পর আরেকবার সুপার কাপের শিরোপা দেশে নিয়ে গেল রিয়াল। ইউরোপিয়ান ফুটবলের সুপার কাপ সবচেয়ে বেশি ৫ বার করে জিতেছে বার্সেলোনা ও মিলান। এবার এ তালিকায় লিভারপুলকে (৩) টপকে দুই নম্বরে উঠে এলো রিয়াল।
ফিট ঘোষণা করলেও ইউরোপা লিগজয়ী ম্যানইউর বিপক্ষে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে। দলের প্রাণভোমরাকে বেশি ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়েনি। শেষ ৭ মিনিট তিনি খেলেছেন করিম বেনজিমার বদলি হয়ে। বেনজিমার সঙ্গে একাদশে নেমেছিলেন প্রতিপক্ষ কোচ হোসে মরিনহোর নজরে থাকা গ্যারেথ বেল। জিদান ম্যানইউ কোচকে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ছাড়ছেন না ওয়েলস তারকাকে। আক্রমণভাগের অন্যজন ছিলেন ইসকো। রিয়ালের মাঝমাঠ সাজানো হয়েছিল টনি ক্রুস, লুক মোডরিচ ও কাসেমিরোকে নিয়ে। অন্যদিকে মরিনহো শুরু করেন নেমাঞ্জা মাতিচ, ভিক্টর লিনডেলোফ ও ক্রিস স্মলিংকে দিয়ে।
ইংলিশ জায়ান্টদের পেছনে ফেলতে খুব বেশি সময় নেয়নি রিয়াল। ২৪ মিনিটে দানি কারভাহালের মাপা ক্রস ম্যানইউর রক্ষণ দেয়ালের উপর দিয়ে চলে যায় কাসেমিরোর কাছে, পা বাড়িয়ে দিয়ে সহজেই বল জালে পাঠান তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। ৫২ মিনিটে বেলের সঙ্গে ওয়ান-টু পাসে ম্যানইউর রক্ষণ ভেদ করেন ইসকো। এর পর ডান পায়ের শটে ডেভিড ডি গিয়াকে পরাস্ত করেন এ স্প্যানিশ।
রোমেলু লুকাকু ম্যানইউতে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক ম্যাচ খেলতে নেমে বেশ উজ্জ্বল ছিলেন। একবার সহজ সুযোগ নষ্ট করলেও ৬২ মিনিটে তিনি রিয়ালকে এক গোল শোধ দেন। মাতিচের শট রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাস পাঞ্চ করেন, এবার আর লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি লুকাকুর। ওই গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল ম্যানইউ। কিন্তু গতবারের মতো এবার অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ায়নি। ১৯৯৯ ও ২০০৮ সালের মতো দুর্ভাগ্যকে বরণ করে নিতে হয় ১৯৯১ সালের চ্যাম্পিয়ন ম্যানইউকে। গোল, ইএসপিএনএফসি