মোস্তাফিজুর রহমান : আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ব্রিজের উভয় পার্শের সংযোগ সড়ক গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধ্বসে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সংযোগ সড়কের চরম দুরাবস্থায় ব্রিজ ব্যবহারকারীরা চরম বিপাকে পড়েছে। ব্রিজের দক্ষিণ পাশের (শোভনালী) সংযোগ সড়কের অবস্থা এতই শোচনীয় হয়ে পড়েছে যে যানবাহনে উঠা-নামা একে বারে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উজিরপুর-বুধহাটা সড়কের শোভনালীতে মরিচ্চাপ নদীর উপর গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি নির্মাণ কাজ করা হয়েছে কয়েক বছর আগে। ব্রিজ নির্মানের পর বহুদিন সংযোগ সড়কের কাজ না করায় ব্রিজ ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল। কিন্তু আশাশুনি বেইলি ব্রিজ সংস্কারের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে বিধায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে বুধহাটা ও শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যানকে কোন রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করতে নির্মাণ কাজের আহবান জানান। চেয়ারম্যানদ্বয়ের প্রচেষ্টায় ব্রিজের দু’পাশে মাটি, বালি, ইটের খোয়া ফেলে অতি প্রয়োজনীয় যানবাহনের চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। সম্প্রতি ব্রিজের শোভনালী পারে ইট বিছিয়ে যানবাহন চলাচলের মোটামুটি ব্যবস্থা করা হয়। উর্ধ্বমুখী সংযোগ সড়ক ব্যবহার করে কষ্টকর ব্রিজ পারাপারে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হলেও গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানির ¯্রােতের টানে সংযোগ সড়কের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। সড়কের দু’পাশের রাস্তা ধ্বসে গিয়ে সড়কটি সাধারনের জন্য মারাত্বক হুমকী স্বরুপ হয়ে পড়েছে। সড়কে বিছানো ইটসহ মাটি ধসে গিয়ে ২ ফুর রাস্তা বাকি আছে। মাত্র ২ফুট উর্ধ্বমুখি ঝুকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে যে কোন যানবাহন চলাচল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এর আগেও এ সংযোগ সড়ক নিয়ে বহুবার লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু রহস্যময় ব্যপার হলোÑ ঠিকাদার কাজ শেষ না করে কিভাবে চলে গেল? এ প্রশ্নের উওর তখনও আমরা সংশ্লিষ্ট কারো হতে পাইনি। ব্রিজের দুই পারে বুধহাটা ও শোভনালী ইউনিয়নের সচেতন মহলের প্রশ্ন, যেখানে নদীই নাই সেখানে কি এত বেশি উর্ধ্বমুখী ব্রিজের দরকার ছিল? তারপর যদিও ব্রিজটি হলো কিন্তু কাজ শেষ না করে কেন ঠিকাদারকে ছেড়ে দেওয়া হলো ? বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে অবিলম্বে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।