নিজস্ব প্রতিবেদক : কাটিয়ায় দোকান ঘর ডিড দিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ। কাটিয়ায় আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় দোকান উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করেও প্রতিষ্ঠান ফিরে না পাওয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা। দোকানঘরের মালিক কাটিয়া আমতলা এলাকার মৃত রকিব উদ্দীনের আসাদুজ্জামান ও আশরাফুজ্জামান জানান, ১৯৯৫ সালে ২০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে মাসিক ২হাজার টাকা ভাড়া চুক্তিতে দোকানঘরটি ডিড দেন কাটিয়া মাঠপাড়া এলাকার আব্দুল আহাদের কাছে। ১৯৯৭ সালে আহাদ গোপনে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২৫ টাকার স্ট্যাম্পে এফিডেভিটের মাধ্যমে দোকানঘরটি বিক্রয় করেন মাহমুদপুর এলাকার কুয়েত প্রবাসী মিজানুর রহমানের কাছে। এরপর আহাদ গোপনে কুয়েতে চলে যায়। মিজানুর কুয়েত প্রবাসী হওয়ায় দোকানঘরটির দায়িত্ব দেন তার ভাই মাহফুজুর রহমান মিলনের কাছে। মিলন দোকানঘরটি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেয়।
এদিকে, দোকানঘরটির মালিকরা দোকানঘর উদ্ধারের চেষ্টা করতে থাকেন। এনিয়ে সমাধানের জন্য প্রবাসী আহাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বারবার আশ্বাস দিলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করনেনি। উপায় না পেয়ে মৃত আব্দুর রকিবের মেঝো ছেলে ওয়াহেদুজ্জামান দোকানঘর উদ্ধারের জন্য ১৭ এপ্রিল ১৭ তারিখে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার বিচারিক কার্যক্রম চলমান। অপরদিকে, মিজানুরের ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান মিলন দোকানঘরটির মালিকানা দাবি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সদর থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকানঘরটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন এবং দোকান ঘরের চাবি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সেলিমের কাছে হস্তান্তর করেন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাবিটি কাউন্সিলর এর কাছে থাকার নির্দেশ দেন থানা পুলিশ। তবে, মিলন কৌশলে দোকানঘরটি চাবি সংগ্রহ করার পায়তারা চালাচ্ছেন বলে ধারণা করছেন ঘরটির মালিক পক্ষ। এছাড়া চাবি নিয়ে অন্যত্র ঘরটি ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে মিলন। এঘটনায় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাবি কোনোভাবেই মিলন না নিতে পারে তার জন্য কাউন্সিলর আব্দুসন সেলিম ও সাতক্ষীরা থানা পুলিশের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকপক্ষরা। এবিষয় কাউন্সিলর আব্দুস সেলিম বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত কোনো ভাবেই চাবি হস্তান্তর করা হবে না।