আজকের সেরা

রাস্তা সংস্কারে গাফিলতি; সিরাজগঞ্জে প্রকৌশলী প্রত্যাহার, সাতক্ষীরায় জামাই আদর!

By Daily Satkhira

August 10, 2017

অপ্রতিম রহমান : সিরাজগঞ্জে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মুস্তফা কামালকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে খানা-খন্দ সংস্কার কাজে গাফিলতি, ৬ কোটি টাকার সরকারি বরাদ্দ নয়-ছয় ও ভাগ-বাটোয়ারার অভিযোগে তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন তিনি। অন্যদিকে এ খবর জানার পরে সাতক্ষীরার অনেক সাধারণ মানুষ ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন সিরাজগঞ্জের ক্ষেত্রে প্রত্যাহার, আর সাতক্ষীরার ক্ষেত্রে কেন জামাই আদর! বুধবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড়ে সড়কের কাজ পরিদর্শনে এসে কাজের ধীরগতি ও অনিয়ম দেখে সেতুমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু রোশন এবং পাবনা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে শোকজ করা করেছেন ওবায়দুল কাদের। সেতুমন্ত্রী আগামী ১০ দিনের মধ্যে সিরাজগঞ্জের সব মহাসড়কে খানা-খন্দ সংস্কারের নির্দেশ দেন। এজন্য তিনি সওজ কর্মকর্তা ও কমর্চারীদেরও সতর্ক করেন। এ সময় সিরাজগঞ্জ সদর (কামারখন্দ ও সিরাজগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা জেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো বর্তমানে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী অবস্থায় আছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা কখনও দেখা যায়নি। সময়মত সংস্কার করা দূরে থাক যখনই এ খাতে কোন বরাদ্দ এসেছে তখনই তা হরিলুট করে নিম্নমানের দায়সারা গোছের কাজ করা হয়েছে। যার ফলে জেলাবাসী শেষ কবে ভালো সড়কে যাতায়াত করেছিল তা ভুলতে বসেছে। বর্তমান সরকারের সকল উন্নয়নকে ম্লান করে দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার প্রধান আলোচ্য বিষয় এখন চলাচলের অযোগ্য সড়ক। আর এই সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিতরা ক্রমাগত লুণ্ঠন করেছেন সরকারি অর্থ আর সাতক্ষীরা জেলার ২২ লক্ষ মানুষকে প্রতিদিন নাকানি-চোবানি খাওয়াচ্ছেন প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে। অথচ এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নীরব সরকারি দলের সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা। যাদের ভোটের বাক্স পরবর্তী নির্বাচনে খালি হয়ে যেতে পারে এসব অনুন্নত রাস্তাঘাটের জন্য।