মূল সংবিধানের কোনও অনুচ্ছেদকে কোনও আদালত বিচার করার ক্ষমতা রাখে না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ফাইনাল রায়ে সমস্ত কিছু বাতিল করা হয়েছে। পঞ্চম সংশোধনীর মামলার রায়ে আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছিল সেখানে রাখা হয়েছিল, কিন্তু রিভিউ- এর আদেশে সব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত আইন নতুন করে করতে বলা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘সংসদ আইন প্রণয়ন করবে এবং সংবিধান হলো সবার ওপরে। যে কথাটি আমি বারবার বলেছি। সংবিধানের আদি কোনও অনুচ্ছেদ কোনও বিচার বিভাগ সেটা ভালো কিংবা মন্দ সে সম্পর্কে বলতে পারবে না। আদালত ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবেন তখনই, যখন সংবিধান সংশোধন হয়। যেখানে মূল সংবিধানে ফিরে যাচ্ছি। সংবিধানের সংশোধনীর দ্বারা মূল সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমি এ কথাও বারবার বলেছি যে, আইন হবে। সে আইনে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য যত রকম কিছু সেভ গার্ড থাকা দরকার, সেটা থাকবে। এবং সেই আইনটিকে অসাংবিধানিক ভালো-মন্দ সব বিচার করার ক্ষমতা আদালতের থাকবে। কিন্তু মূল সংবিধানের কোনও অনুচ্ছেদকে কোনও আদালত এটা বিচার করার ক্ষমতা রাখে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, ‘রিভিউ রায়ে ছিল মার্শাল ল’তে জারি করা সমস্ত ফরমান- আইন অবৈধ। তবে রাষ্ট্রপরিচালনার কাজে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বৈধতা দেওয়া হলো। তারপর আর না।’
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমি কোনও মন্তব্য করবো না। আইন করা হবে কিনা সেটা সংসদের ব্যাপার। আর বিচারপতিরা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল-এর বৈঠকে বসেছেন এটা ওনাদের ব্যাপার।’
এ অবস্থায় জুডিশিয়াল কাউন্সিল কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেটা যুক্তিযুক্ত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়েও আমি কোনও মন্তব্য করবো না। দেখি কী হয়।’ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে আদালতে ঠিক কী হয়েছিল এই প্রশ্ন করলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আদালত আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে যখন বসেছিল সকাল নয়টায়, তখন বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী বারের সভাপতি ও সম্পাদকও ছিলেন, তারা কতগুলো সংবাদপত্র নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন। বিচারপতি খায়রুল হক সাহেব ষোড়শ সংধোনীর বিষয়ে যে মন্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে ওনারা বলতে চেয়েছেন- এতে আদালত অবমাননা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন , সুপ্রিমকোর্টের রায় নিয়ে, এই ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে, কেউ যাতে কোনও রাজনীতি না করেন। কেউ যাতে এটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করেন। উনি বলেছেন , রায় দিয়েছেন এটা আদালতের বিষয়। যারা রাজনীতি করবে এটা তাদের বিষয় হতে পারে না। ’