নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, তারা স্থানীয় জামায়াত বিএনপি ও নামধারী নব্য আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হুমকির মধ্যে রয়েছেন। স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক পরিচয়ধারী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও উল্লেখ করেন। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও পরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তারা। তারা বলেন সন্ত্রাসী গডফাদার কর্তৃক প্রতিনিয়ত নানান অপবাদ ও দেশ ছাড়ার হুমকির মধ্যেও রয়েছেন তারা। আশাশুনি উপজেলার সবদলপুর মৌজার সাত একর ১৪ শতক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শুক্রবার পূজা উদযাপন পরিষদের মানববন্ধনের জবাবে কোদন্ডা গ্রামের শংকর কুমার সরকারের নেতৃত্বে পাল্টা মানববন্ধন করে এসব কথা বলেন হিন্দু নেতৃবৃন্দ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন পারুল রানী, লিপিকা সরকার, আরতি রানী, গুরুপদ সরকার, মিজানুর রহমান, আকবর আলি, মো. শফিউল্লাহ প্রমুখ। মানববন্ধনে আরও বলা হয় গত ৪২ বছর ধরে সরকারকে খাজনা দেওয়া সত্ত্বেও ডিসিআরভূক্ত ২১ বিঘা জমি অপরাজনীতিকদের মদদপুষ্ট হয়ে সবদলপুরের পরিমল রায় ও তার লোকজন জবর দখলে রেখেছিল। কিছুদিন আগে সরকারের নির্দেশনায় উপজেলা সার্ভেয়ার জমিতে লাল পতাকা স্থাপন করে শংকর সরকার গংকে জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন। এরপর থেকে শংকরের নেতৃত্বে সেখানে মাছ চাষ হয়ে আসছে বলে জানান তারা। ওই জমির ডিসিআর অংশীদার হিসাবে আরও রয়েছেন মিজানুর রহমান, আকলিমা খাতুন, অহিদুল ইসলাম ও হাফিজুল ইসলাম। দুপরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আশাশুনির কোদন্ডা গ্রামের সুধীর সরকারের ছেলে শঙ্কর সরকার বলেন, গত শুক্রবার পরিমল রায়ের পক্ষ নিয়ে আশাশুনি পূজা উদযাপন পরিষদের কয়েক ব্যক্তি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রসুল বিপ্লবের সমালোচনা করে যেসব কথা বলেছেন তা মিথ্যা। বিপ্লব ডিসিআর গ্রহীতা শংকর সরকারসহ সাধারণ নাগরিকদের জমি পেতে আইনগত সহায়তা করেছেন মাত্র। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা বলেও দাবি করেন তারা।