প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা শেখ হাসিনার কাছে এটি হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। প্রেস সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে মোদি সরকারের তিন বছরের মূল্যায়ন নিয়ে লেখা ‘মার্চিং উইথ অ্যা বিলিয়ন’ নামে একটি বইও তুলে দেন ভারতের হাইকমিশনার। এটি লিখেছেন ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিনের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক উদয় মাহুরকার। এদিকে, ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ ও বই উপহারের কথা উল্লেখ করা হলেও মোদির চিঠি সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। হাইকমিশনের বার্তায় বলা হয়, সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল ভারত সফরের কথা উল্লেখ করেন। এ সময় রেকর্ডসংখ্যক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির বাস্তবায়ন এবং অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ককে গতিশীল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর উচ্চ পর্যায়ে মতবিনিময়ের প্রশংসা করেন। হাইকমিশন জানিয়েছে, ‘মার্চিং উইথ এ বিলিয়ন’ বইটিতে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির ওপর দৃষ্টিভঙ্গি অংশে বাংলাদেশকে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অধীনে ভারতের প্রধান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতির প্রশংসা ও স্বীকৃতির কথা উল্লেখ রয়েছে। বইটিতে দুই দেশের সীমান্ত চুক্তির সফল বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যতিক্রমধর্মী নেতৃত্ব ও সহযোগিতার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের অগ্রগতির ও অর্জনের সময়োপযোগী দর্শন’ হিসেবে অভিহিত করেন। সেই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত আঞ্চলিক উন্নয়নে চ্যাম্পিয়ন হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
জার্মান এমপির সাক্ষাৎ : পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জার্মান পার্লামেন্টের সদস্য হ্যান্স-পিটার উহি। বাংলাদেশ ও জার্মানির দৃঢ় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন জার্মান পার্লামেন্টের এই সদস্য। চলতি বছর জার্মানির মিউনিখে শেখ হাসিনার সফরের কথা স্মরণ করেন তিনি। তখন ই-পাসপোর্টের জন্য দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়েও গতকাল জার্মান পার্লামেন্টের সদস্যের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে বিনিয়োগের জন্য জার্মান বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা।