আমির হোসেন খান চৌধুরী : একটি সংঘবদ্ধ চক্র সাতক্ষীরা-চুকনগর সড়কের পাটকেলঘাটা ৩০ মাইল এলাকার রাস্তার দু’ধারে লাগানো সরকারি গাছ কেটে আত্মসাৎ করে চলেছে। শুক্রবার ভোর রাতে ওই চক্রটি বিশালাকৃতির একটি খইগাছ ও একটি আকাশমনি গাছ কেটে নেয়। ওই গাছ নিয়ে যাওয়ার আগে স্থানীয় জনগণ জানতে পারায় নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় শুক্রবার দুপুরে বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিনেরপোতা এলাকার কয়েকজন জানান, বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে বিনেরপোতা এলাকার বিভিন্ন অপকর্মের হোতা ওহাব ডাকাতের ছেলে আবু সাঈদ ও তার সহযোগী জিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন কুড়াল ও করাত দিয়ে সাতক্ষীরা- চুকনগর সড়কের ৩০ মাইল নামক স্থানের রাস্তার পাশের একটি খই গাছ ও একটি আকাশমনি গাছ কেটে ফেলে। গাছ কাটার শব্দে স্থানীয়রা জানতে পারলে সাঈদ ও জিয়া পালিয়ে যায়। এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, জিয়া ও সাঈদ বিনেরপোতা থেকে শুরু করে পাটকেলঘাটা পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে লাগানো প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে আত্মসাত করেছেন। এছাড়া জিয়া ও আবু সাঈদদের অত্যাচারে অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। তারা সরকারি গাছ কাটা, খাস জমি দখল, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের হোতা। তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ। তারা আরো জানান, জিয়া বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির নেতা ছিলো। এখন আবার আওয়ামীলীগ নেতা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে শত অভিযোগ থাকার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চত থাকার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু বলেন, ওই দিন রাতে জিয়া ও সাঈদসহ কয়েকজন ব্যক্তি রাস্তার ধারের গাছগুলো কাটতে থাকে। এসময় এলাকার ছেলেরা বুঝতে তাদের ধাওয়া দিলে তারা গাছ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় জিয়া ও সাঈদকে চিনতে পারে। সাতক্ষীরা বনকর্মকর্তার অফিসের কর্মকর্তা ও একইসাথে ত্রিশ মাইল এলাকার দায়িত্বে থাকা মারুফ বিল্লাহ জানান, কাঠ ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীরের কাছ থেকে বেশ কিছু কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে শুক্রবার হুমায়ুন কবীরের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে বিভাগীয় বনকর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন।