জাতীয়

জেলের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

By Daily Satkhira

August 12, 2017

গত এক সপ্তাহ ধরে গভীর সমুদ্রগামী জেলের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এখন ইলিশে সয়লাব। বিক্রি হচ্ছে পানির দামে। সমুদ্র থেকে ফিরে আসা জেলেরা বলছে, সমুদ্রে নেই কোন জলদস্যুর উৎপাত।

প্রশাসনের দাবি, মা ইলিশ রক্ষা এবং অবৈধ জাল বন্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করায় জেলেরা আজ এতো ইলিশ পাচ্ছে।

সকাল সন্ধ্যা কিংবা রাত সমুদ্রে ইলিশ শিকার করে ট্রলার বোঝাই করে ফিরছে জেলেরা। মাছ বিক্রি করে রসদ সামগ্রী নিয়ে ইলিশ শিকারে আবার সমুদ্রে ছুটছে তারা। গত এক সপ্তাহ ধরে এক একটি ট্রলারে ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত ইলিশ পেয়েছে। প্রতিমণ ১৪ হাজার থেকে ১৮ হাজার পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশের বৃহত্তম পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ইলিশে সয়লাব থাকায় জেলে ট্রলার মালিক পাইকার ও আড়ৎদারদের পদচারণায় এখন মুখরিত। তাদের ব্যস্ততা এখন এতটাই যেন ধম ফেলার সুযোগ নেই। ২৪ ঘন্টাই চলছে ইলিশ কেনাবেচা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে ট্রলার ও ট্রাক বোঝাই ইলিশ। বিদ্যুতের সমস্যা থাকায় যে পরিমাণ বরফের চাহিদা রয়েছে সেই পরিমাণ বরফ উৎপাদন করতে পারছে না স্থানীয় বরফকলগুলো। বিগত দিনে প্রশাসন জলদস্যু বাহিনীদের দমন করায় এখন পর্যন্ত জলদস্যুর হামলার শিকার হয়নি কোন ট্রলার। পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়াতে জেলেরা ট্রলার মালিক ও শ্রমিকরা বিগত দিনের ধার দেনা যে ভাবে জড়জড়িত হয়েছিল তা থেকে হয়তো এখন তাদের মুক্তি মেলবে।

তবে আবহাওয়া খারাপ না হওয়াতে এবং বাতাস না থাকায় বলেশ্বর, বিশখালী, পায়রায় ও সাগর মোহনায় যে সব প্রান্তিক জেলেরা মাছ শিকার করে তাদের জালে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ইলিশ শিকার করতে পারেনি। পূর্ণিমার পরে হয়তো এ সকল প্রান্তিক জেলেদের জালেও ধরা পরতে পারে প্রচুর ইলিশ এবং প্রশাসনের নজরদারিতার কারণে এত ইলিশ পাচ্ছে জেলেরা।