সাতক্ষীরা

আলিপুরে শ্রমিক নেতা আক্তারকে ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

By Daily Satkhira

August 12, 2017

আসাদুজ্জামান : সদর উপজেলা টাইলস মোজাইক শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন বুধবার সারা দিনের পরিশ্রম শেষে রাতে বাড়ি এসে খেয়ে দেয়ে রাস্তার পাশে দোকানের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় সাতক্ষীরা থানার পুলিশ এসে তাকে বাজ পাখির মতো ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে গেল। পরদিন সকালে তাকে দুই বোতল ফেনসিডিল দিয়ে চালান দিলো পুলিশ। এখন তিনি জেল হাজতে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তার সংগঠনের নেতারা বলেন, আলিপুর গ্রামের আবদুল মাজেদের ছেলে আক্তার জীবনে কখনও ফেনসিডিল খায়নি, ছোঁয়নি, কেনেনি, ব্যবহারও করেনি। পুলিশ অন্য এক ব্যক্তিকে ধরে এনে তার কাছে পাওয়া ফেনসিডিলের দুই বোতল আক্তারের কাছে দিয়ে তাকে ফেনসিডিলখোর বানানোর চেষ্টা করেছে। আর এর পেছনে রয়েছে এলাকার ইউপি মেম্বর বহু টাকাওয়ালা মানুষ রফিকুল, যাকে এলাকার মানুষ ঘৃণা করে। শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে টাইলস মোজাইক শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি রবিউল ইসলাম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা সরকারি জমিতে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের একটি অফিস তৈরি করতে চাইছিলাম। মেম্বর রফিকুল তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারের ইউপি নির্বাচনে আক্তার হোসেন রফিকুলকে সমর্থন দেন নি। এ সব কারণে তার সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব চলছে। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষমতাধর রফিকুল আমাদের নেতা আক্তার হোসেনকে ষড়যন্ত্র করে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে। রফিকুলের বিরোধীতা করায় এর আগেও জিয়াদ ও মনিরুলকে মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয়েছিল। বিদেশ খেটে আসা এই রফিকুল এখন অনেক টাকার মালিক। এই টাকার জোরে সে সম্প্রতি জাহিদ হাসান নামের এক ব্যক্তিকে জামায়াত বানিয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে গ্রেফতার করায়। পরে তদন্তে দেখা যায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। পুলিশ তাকে সসম্মানে ছেড়ে দেয়। রফিকুল মেম্বর নানা অপকর্মের হোতা উল্লেখ করে তারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন তার দুই স্ত্রীই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এলাকার মানুষ কাওরা মেম্বর না বললে চেনে না তাকে। আমরা তার কবল থেকে রক্ষা পেতে চাই। পুলিশ যেনো তাকে পাত্তা না দেয়। কারণ সে অসৎ ব্যক্তি। সে আস্ফালন করে বলেছে আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীদের এক এক করে পুলিশে ধরিয়ে পথে বসাবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন রফিকুল মেম্বরের চক্রান্তের কারণে নিরীহ টাইলস মিস্ত্রী আক্তার গ্রেফতার হওয়ায় তার পাঁচ বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী। আমরা অবিলম্বে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে আক্তার হোসেনের মুক্তি চাই। একই সাথে দুষ্ট ও অসৎ মানুষ এবং নানা অপরাধের হোতা রফিকুলকে গ্রেফতার করে তার শাস্তি দাবি করছি। কারণ তার অত্যাচারে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শামীম হোসেন বাবু, আবদুল হাকিম, আবদুল আলিম, শরিফুল ইসলাম, শেখ বাবু, সুজন ইসলাম, কবির হোসেন প্রমুখ নেতা।