উপমহাদেশে টেস্ট ক্রিকেটে টস জয় মানেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। তৃতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও ব্যাটিং নিতে দ্বিধা করেননি। শিখর ধাওয়ান ও লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটি বিশাল সংগ্রহের স্বপ্নই দেখাচ্ছিল অতিথিদের। কিন্তু দুই ওপেনারের চমৎকার ভিত কাজে লাগাতে পারেননি পরের ব্যাটসম্যানরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্বস্তি নিয়েই প্রথম দিন শেষ করেছে ভারত। দিনশেষে স্কোর ৬ উইকেটে ৩২৯ রান।
শনিবার পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ধাওয়ান ও রাহুল বিচ্ছিন্ন হয়েছেন ১৮৮ রানের জুটি গড়ে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে কোনও অতিথি দলের এটাই সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। আগের রেকর্ডের সঙ্গেও জড়িয়ে ভারতের নাম। ১৯৯৩ সালে ১৭৩ রানের জুটি গড়ে রেকর্ডটা করেছিলেন মনোজ প্রভাকর ও নভোজত সিং সিধু। সব মিলিয়ে এটা শ্রীলঙ্কায় তৃতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। প্রথম দুটি স্থানে আছে ৩৩৫ ও ১৯৩ রান। দুটি জুটিই গড়েছিলেন সনাৎ জয়াসুরিয়া ও মারভান আতাপাত্তু।
রাহুলের সামনে আরেকটি রেকর্ডের হাতছানি। টেস্ট ক্রিকেটে টানা ৭ ইনিংসে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করেছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ করলেই এভারটন উইকস, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, শিবনারায়ণ চন্দরপল, কুমার সাঙ্গাকারা ও ক্রিস রজার্সকে পেছনে ফেলে রেকর্ডটা নিজের করে নেবেন রাহুল। অবশ্য এমন একটা রেকর্ড স্পর্শ করেও তাকে ফিরতে হয়েছে সেঞ্চুরির না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। তার ১৩৫ বলে খেলা ৮৫ রানের ইনিংসটা সাজানো ৮টি চারে।
তবে ধাওয়ান কোনও ভুল করেননি। ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি করে তিনি থেমেছেন ১১৯ রানে। ১২৩ বলে ‘ওয়ানডে স্টাইলে’ খেলা ইনিংসটা নির্মিত ১৭টি চারে। ভারতের দুই ওপেনারই বাঁহাতি স্পিনার মালিন্দা পুষ্পাকুমারার শিকার।
উদ্বোধনী জুটির পর অতিথিদের আর কোনও বড় জুটি গড়ে ওঠেনি। দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয়েছে ১০৩ রানের ব্যবধানে। কোহলি (৪২) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৩১) কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে না পারলে অবস্থা আরও খারাপ হতো ‘টিম ইন্ডিয়া’র।
৪০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার পুষ্পাকুমারা। ৮৪ রানের বিনিময়ে বাকি দুই উইকেট আরেক বাঁহাতি স্পিনার লাকশান সান্দাকানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ৯০ ওভারে ৩২৯/৬ (ধাওয়ান ১১৯, রাহুল ৮৫, কোহলি ৪২; পুষ্পাকুমারা ৩/৪০, সান্দাকান