আন্তর্জাতিক

বিহার, আসামে বন্যায় মৃত ১৪৭ জন

By Daily Satkhira

August 18, 2017

ভারতের বিহার ও আসাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দুই রাজ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এরই মধ্যে প্রায় এক কোটি ছাড়িয়েছে। দুই রাজ্যে বন্যার ফলে মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ১৪৭ জনে পৌঁছে গেছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ দুই রাজ্যে ভয়াবহ বন্যার ফলে রেল ও সড়ক পরিবহনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর সীমান্ত রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

বন্যায় সবচেয়ে বেহাল বিহার রাজ্য। এ রাজ্যে বন্যায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। বিহারের ১৫টি জেলায় ৯৩ লাখ মানুষ বন্যার পানিতে ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় বন্যাদুর্গতদের জন্য হেলিকপ্টার থেকে খাবারের প্যাকেট ফেলা হচ্ছে। গ্রামগঞ্জে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। বিহারজুড়ে এরই মধ্যে প্রায় ৫০৪টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। বন্যার কারণে বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব স্কুল-কলেজের পরীক্ষাও। বন্যার পানিতে বিহারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কসহ প্রায় ১২৪টি রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কলার ভেলা তৈরি করে বন্যাদুর্গত মানুষ যাতায়াত করছেন। বিহারের ঘাঘরা নদীর পানির স্তর বিপৎসীমার এক মিটার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যায় পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করতে দিন-রাত কাজ করে চলেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

গত বুধবার পারাপারের সময় পানির স্রোতে বিহারের আরারিয়ায় সেতু ভেঙে একই পরিবারের দুজন ভেসে গেছেন। গত বৃহস্পতিবার বিহারে নতুন করে বানভাসি হয়েছে সহর্স জেলা। বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিহার প্রশাসন এরই মধ্যে বিহারের সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ, জলাতঙ্কের ইনজেকশন এবং সাপের কামড়ের ওষুধ মজুদ রাখার নির্দেশ জারি করেছে।

অন্যদিকে, ভারতের আসাম রাজ্যেও বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আসামের ২৪টি জেলায় এরই মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৩১ লাখ মানুষ। এ পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ৪৯ জন। মারা গেছে বহু গবাদি পশু ও বন্যপ্রাণীও।

আসামের ধুবরি জেলাতেই প্রায় আট লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি মোরিগাঁও জেলাতেও বানভাসি হয়েছেন পাঁচ লাখ মানুষ। আসামজুড়ে ৬০২টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। আসামের ব্রহ্মপুত্র, ধানসিঁড়ি, জিয়া ভারলি, কোপিলি, বেকি এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।