আশাশুনি ডেস্ক : ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ২০ আগস্ট রবিবার সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলা সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আয়োজনে আশাশুনি সরকারি কলেজে এক শোক সভা ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত শোক সভা ও র্যালী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি সরকারি কলেজের অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম হুমায়ুন কবির সুমন, সাধারণ সম্পাদক মো.মনিরুজ্জামান বিপুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিকলীগের আশাশুনি উপজেলা আহবায়ক ঢালী শামছুল আলম, সেচ্ছাসেবকলীগের আশাশুনি উপজেলা সভাপতি এস.এম সাহেব আলী, শ্রমিকলীগের আশাশুনি উপজেলার সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড প্রতাপনগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো.আফজাল হোসেন, আশাশুনি উপজেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি প্রভাষক মিজানুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুল হক ডাবলু, ছাত্রলীগের আশাশুনি সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি হুমায়ুন কবির রাসেল, আশাশুনি সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল হাসান, ছাত্রলীগ নেতা মিঠুন, আনারুল, রাকিব, ইদ্রিস, উজ্জল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ছাত্রলীগ শিক্ষা ,শান্তি ও প্রগতির পতাকা বাহী সংগঠন, জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া, জীবন ও যৌবনের উত্তাপ শুদ্ধ সংগঠন, সোনার বাংলা বিনির্মানের কর্মী গড়ার পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগে। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী সময়ের দাবিতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্টা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আমাদেও আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বক্তারা ১৫ আগস্ট ভয়াল রাতের কথা স্বরণ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অতিপ্রত্যুষে ঘটেছিল ইতিহাসের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা। সেদিন ঘাতক বাহিনীর হাতে প্রাণ দিয়েছিলন বাঙালির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান,স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর সপরিবার। এমনকি তাঁর পরিবারের ছয় বছরের শিশু শেখ রাসেল থেকে শুরু করে আন্তঃত্বা নারীও সেদিন ঘাতকদের গুলি থেকে রেহায় পায়নি। ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাসভবনে বঙ্গবন্ধু সপিরবারে নিহত হলেও সেদিন আল্লাহর অসীম কৃপায় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যেন পাখির কান্নার শব্দে ঘুম থেকে জেগে উঠেছিলে বাঙালি জাতি। বাঙালির ইতিহাসে এই দিনটি রক্তে লেখা অন্ধকারতম একটি অধ্যায়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগ নেতা আমিরুল, আশিক, রেজাউল, শামিম, শংকর, কুমারেশ, আজম, মিনারুল, বিদ্যুৎ, আনিছুর, শাওন, পাপ্পা, রনিসহ আওয়ামীলী ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।