ভারতের আহমেদাবাদের সাবরমতি জেলখানার গৌতম রামানুজ নামের এক কয়েদির আর্জি আদালতের কড়া নেড়েছে। তিনি দাবি জানান, জেলবন্দি থাকলেও তাকে যাতে ধর্মীয় আচার পালনের সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, তার ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে শুকনো নারিকেলের প্রয়োজন পড়ায় তিনি এই আবেদন জানান। কিন্তু শুকনো নারিকেলে জেলখানার মতো স্থানে নিষিদ্ধ এখন। কারণ, একে তো এই ফলটি ছুঁড়ে মেরে কাউকে আহত করা যায় তার ওপরে এটা ভাঙলে এর টুকরোগুলোও কাউকে আহত করার কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু তারচেয়েও বড় ঝুঁকি হচ্ছে নারিকেলের ভেতরে ভরে বোমাও আনা হতে পারে- জেল কর্তৃপক্ষ তাই মনে করে।
জানা গেছে, রামানুজের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের গুজরাত হাইকোর্টের বিচারক এ জে দেশাই জেল কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করেছেন- হঠাৎ নারিকেল দেওয়া বন্ধ করা হলো কেন? কয়েদিদের পূজা পালনে এতদিন যাবত শুকনো নারিকেল বরাদ্দের রেওয়াজ ছিল। তবে নারিকেলের খরচ দিতে হত কয়েদিকে আর তা এনে দিত কারারক্ষীরা। তবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করে দেয়।
জানা গেছে, জেল কর্তৃপক্ষকে আগের মতোই কয়েদিদের নারিকেল সরবরাহের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আদালত আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত জবাব দিতেও বলা হয়েছে কারা কর্তৃপক্ষকে।