জাতীয়

প্রধান বিচারপতির সরে যাওয়া উচিত ছিল : প্রধানমন্ত্রী

By Daily Satkhira

August 21, 2017

ষোড়শ সংবিধান বাতিলের রায়ে করা প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতিকে। উনাকে এসব কথা বলার আগে ওই পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত ছিল বা বলেই সরে যাওয়া উচিত ছিল।’

আজ সোমবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৩ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে  শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ পার্লামেন্ট যেহেতু  মহিলা এমপি করতে পারবে না, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে পারবে না। এ রাষ্ট্রপতি যেহেতু আমাকে নিয়োগ দিয়েছে আমি ওই পদে থাকব না। বলে দিলেই তো হলো। উনার লেখা রায়ে অনেক কনট্রাডিকশন আছে। আমি পড়ছি, অস্বাভাবিক লাগছে। আমি নোট নিচ্ছি। পার্লামেন্টে এটা বলতে পারব।’

‘পার্লামেন্ট সদস্যদের ক্রিমিনাল বলা হচ্ছে’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, হঠাৎ করে উচ্চ আদালত থেকে নানা ধরনের বক্তব্য, রাজনৈতিক কথাবার্তা ও হুমকি-ধমকি। মাঝে মাঝে অবাক হই, যাদের আমরাই নিয়োগ দিয়েছি, মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়োগ পাওয়ার পর হঠাৎ তাদের বক্তব্য শুনে, পার্লামেন্ট সম্পর্কে যেসব কথা বলা হচ্ছে, পার্লামেন্ট সদস্য যারা, তাদের ক্রিমিনাল বলা হচ্ছে। সেখানে ব্যবসায়ী আছে সেটাও বলা হচ্ছে। ব্যবসা করাটা কি অপরাধ? কোনো ব্যবসায়ী মামলা করলে উচ্চ আদালত কি তাদের পক্ষে রায় দেয় না? রায় তো দেয়। বিচার তো তারাও পায়। তারা যদি সংসদ সদস্য হয় তাহলে অপরাধটা কোথায়? পার্লামেন্টকে হেয় করা, পার্লামেন্টকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করা, এর অর্থটা কী? অনেক সংগ্রাম করে রক্ত দিয়ে এ দেশে আমরা গণতান্ত্রিক ধারা এনেছি। ৭৫-এর পর উনিশটা ক্যু হয়েছে। হাজার হাজার সামরিক বাহিনীর অফিসার সৈনিকদের হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার আমাদের নেতাকর্মীদের খুন করা হয়েছে। গুম হয়েছে। সে অবস্থা থেকে একটা সুস্থা অবস্থায় নিয়ে এসেছি।’

‘যেটা মূল সংবিধানে ছিল তা উনার পছন্দ না’ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির রায়ে পার্লামেন্ট সম্পর্কে বক্তব্য, সংসদ সদস্যদের সম্পর্কে বক্তব্য, এমনকি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায়ও কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা, এটা কোন ধরনের কথা। আমাদের সংবিধান আছে। যে সংবিধান ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি। যেটা মূল সংবিধানে ছিল সেটাও উনার পছন্দ না। পছন্দ কোনটা? ওই যে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে,  এটা হাইকোর্টেরই রায় যে জিয়ার ক্ষমতা অবৈধ করে মার্শাল ল অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল করে দিয়েছেন সেটা উনার পছন্দ। কিন্তু গণপরিষদ যে সংবিধান তৈরি করেছেন সেটা উনার পছন্দ না। উনি চাচ্ছেন মার্শাল ল যেটা করে দিয়েছেন সেটা।’