উরি হামলা, ভারতের পাল্টা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে কাজ করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা, ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন থেকে কাশ্মীরে একের পর এক বিচ্ছেদের উসকানি। প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ঐক্যের স্বপ্ন দেখছেন গুরমিত নামের এক ভারতীয়। নিজের সন্তানের নাম ‘ভারত’ ও ‘পাকিস্তান’ রেখে নতুন করে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি
দেশভাগ হয়তো দেখেননি বছর চল্লিশের গুরমিত। কিন্তু চুরাশির দাঙ্গার সাক্ষী ছিলেন তিনি। নিজের চোখে দেখেছেন সেই নৃশংসতা। জানেন ঘৃণার কী নির্মম পরিণতি হতে পারে। তাই আর দুই দেশের মধ্যে ঘৃণা চান না তিনি। চান সম্প্রীতি, ভালবাসা আর আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা। আর এই কারণেই নিজের দুই ছেলের নাম ভারত ও পাকিস্তান রেখেছেন গুরমিত। যাতে দু’জনের নাম একসঙ্গে নেওয়া হয়। আর মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
এর জন্য কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি গুরমিতকে। প্রতিবেশী, আত্মীয়দের থেকে তো কথা শুনতে হয়েছে, আবার ছেলেদের স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়েছে এই বিরল নামের জন্য। শেষে পাকিস্তানের নাম পাল্টে শুধুমাত্র স্কুলের জন্য করণদীপ করতে হয়েছে। তবে বাড়িতে দুই ছেলেকে ভারত-পাকিস্তান নামেই ডাকেন পাকিস্তানের বাসিন্দা। এমনকী, নিজের কাঠের আসবাবপত্রের দোকানের নামও ‘ভারত-পাকিস্তান উডওয়ার্কার’ রেখেছেন গুরমিত। একটাই লক্ষ্য, সম্প্রীতির এই বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। চল্লিশ বছরের গুরমিতের মতে, হিংসা কেবলমাত্র ক্ষতিই করতে জানে। এর মাধ্যমে কোনও সৃষ্টিশীল কাজ সম্ভব নয়। তা সম্ভব একমাত্র ভালবাসার মাধ্যমে।