শহর ডেস্ক : সাতক্ষীরা কোর্টে বাল্যবিবাহ দিতে এসে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের কাছে হাতেনাতে ধরা খেল এক পরিবার। সরেজমিনে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার বড় রাজনগর গ্রামের মতিয়ার মোড়ল এর পুত্র সবুজ হোসেন(২৯) এর সাথে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার বাকড়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের প্রবাসী তৌফার সরদার এর শিশুকন্যা শিমুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী লিজা খাতুন(১৫) কে সাতক্ষীরা কোর্ট এ বাল্যবিবাহ দিতে নিয়ে এসে জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদেও কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এই পরিবার। জানা যায়, এসময় তারা কোর্ট এফিডেফিটের জন্য ১৫০/= টাকার স্ট্যাম্পে এফিডেফিট সংক্রান্ত লেখা প্রস্তুত করার শেষে হাতেনাতে ধরে ফেলেন জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার শেলী ও সাকিবুর রহমান। এ সময় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি কোর্ট এফিডেফিটের জন্য প্রস্তুুত স্ট্যাম্পটি জব্দ করেন। এসময় এফিডেফিট সংশ্লিষ্ট মুহুরি বলেন কোর্ট এফিডেফিটের পর পৌর ৮নং ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার সাইদুজ্জামান বিবাহ রেজিস্ট্রি করাবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে বাকড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসরাঈল জানান, উভয় পরিবারের সাথে গত এক বছর ধরে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে আমি জানি, তবে তাদের বিয়ের ব্যাপারে কিছু জানি না। তাছাড়া তিনি তাদেও ছেড়ে দেওয়ার জন্য জেলা বাল্যবিবাহ কমিটির সদস্যদের নিকট বার বার অনুরোধ করেন এবং বলেন তাদের যেন কোন ক্ষতি না হয়। এ ব্যাপারে শিমুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিয়ার রহমান বলেন, আমি এই মেয়েকে চিনি এবং তার বয়স ১৫+। এসময় মেয়ের চাচা এবং ছেলের বাবা উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া মেয়ে জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখাতে ব্যর্থ হয় এছাড়া ভূয়া একটি টিকা কার্ড দেখান। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী উক্ত বাল্যবিবাহটি প্রতিরোধ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নজরদারিতে উভয়কে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং প্রস্ততকৃত এফিডেফিটটি জব্দ করা হয়।