আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী পিএন স্কুল এন্ড কলেজের বহুল আলোচিত সাময়িক বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ আবারও দায়িত্ব গ্রহণের জন্য জোর পায়তারা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকা, ভুয়া কাগজপত্র জমা ও অর্থ আতœসাতের অভিযোগে ২০১২ সালে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে স্কুলের ৫৫ হাজার অর্থ আতœসাতের অভিযোগে চিফজুডিশিয়াল আদালতে চলমান একটি মামলা রয়েছে। জুডিশিয়াল আদালতে মামলা থাকা অবস্থায় একজন বরখাস্তস্কৃত শিক্ষক কিভাবে আবার স্বপদে বহাল হবেন তা নিয়ে শহরব্যাপী আলোচনান ঝড় বইছে। এ বিষয়ে পিএন মাধ্যমিক বিদ্যালযের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য ও বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে চিফজুডিশিয়াল আদালতে দায়ের করা মামলার বাদী শেখ আলাউদ্দীন জানান, দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থ আতœসাতের মামলা ইতিমধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসার একাধিকবার তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছেন। তিনি এ মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন। তার বিরুদ্ধে পি,এন স্কুলে বসে জামায়াতের গোপন বৈঠকসহ জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্তার অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আক্ষেপ করে আরো জানান, দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ জামিন পাওয়ার পর কিছু রাজনৈতিক ও প্রশাসনের লোকের সহায়তায় স্বপদে বহাল হওয়ার জন্য জোর পায়তারা চালাচ্ছেন। ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য মইনুর রশিদ জানান, অর্থ আতœসাতের এই মামলার পরবর্তি স্বাক্ষীর দিন চলতি মাসের ২৭ তারিখ ধার্য রয়েছে। এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদ স্বপদে বহাল থাকার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। তিনি আরো জানান, যেহেতু তার বিরুদ্ধে একটি জুডিশিয়াল মামলা রয়েছে। সে কারণে তিনি আইনগতভাবে ওই পদে আর বহাল হতে পারবেননা। আমি ইতিমধ্যে বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহাদয়কে অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে জানার জন্য সাময়িক বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মাজেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যবহৃত ০১৭১৮-৫০২৮২৮ নাম্বারের মোবাইলে ফোনে বার বার ফোন দিলেও ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।