সাতক্ষীরা

ঝাউডাঙ্গা বাজারে সরকারি জমিতে নির্মিত হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা : নিরব দর্শকের ভূমিকায় প্রশাসন

By daily satkhira

October 05, 2016

জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারে সরকারি জায়গায় নির্মিত হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কাঁচা বাজারে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন পাকা দোকান ঘর (ইমারত) তৈরি করছেন পাথরঘাটা গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুর রউফের দুই ছেলে মো. সেলিম রেজা ও মাসুম রেজা। সরেজমিনে জানা যায় তামান্না ফিসের স্বত্ত্বাধিকারি মো. সেলিম রেজা ও তার ভাই ঝাউডাঙ্গা মৌজার ১নং খতিয়ানভূক্ত ১৩৪/৭২ নং দাগে ৬৮৪ বর্গ মিটার জমির উপর অবৈধভাবে পাকা দোকান ঘর (ইমারত) তৈরি করছেন। ঝাউডাঙ্গা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াস বলেন, একে তো আমরা অধিকাংশই কাঁচাবাজারের নির্ধারিত ফুটপাতে বসি। এভাবে পাকা দোকান বাড়তে থাকলে আমাদের চট পেতে বসার জায়গাও থাকবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের দুঃখের শেষ নেই। কখনো কালী মন্দিরের চারপাশে, কখনো মাছ বাজারের পাশে আমরা দোকান পেতে বসি। যদি এভাবে কাঁচাবাজার সংকীর্ণ হতে থাকে আর মন্দির কর্তৃপক্ষ আমাদের বসার জায়গা না দেয়, তাহলে অধিকাংশ কাঁচামাল ব্যবসায়ীর ধান হাটের ব্যবসায়ীদের মত মেইন রোডের পাশে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। এবিষয়ে ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল হাই বলেন, আমি অসুস্থ থাকার কারণে বিষয়টি এখনো জানি না। তবে কাঁচাবাজারের ইটের সোলিং তুলে সেখানে পাকা দোকান নির্মাণ করা অবৈধ। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা অবৈধভাবে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন। তাদেরকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে এবং মালামাল অপসারণ করতে মঙ্গলবারে নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে তারা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও বাজারের ইজারাদার শেখ আব্দুল আলীম বলেন, অবৈধভাবে অনেকেই এভাবে মাছের আড়ৎ নির্মাণের ফলে কাঁচাবাজার সংকুচিত হয়ে আসছে। ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মো. রমজান আলী বলেন, যেখানে দোকান হচ্ছে সেটা তার জায়গা। তবে অবৈধভাবে ইমারাত নির্মাণ হচ্ছে কি না আমার জানা নেই। তামান্না ফিসের স্বত্ত্বাধিকারি মো. সেলিম রেজা বলেন, আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই আমার জায়গায় নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এছাড়া বিষয়টি স্থানীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদ, বাজার কমিটি ও ভূমি অফিসকে অবহিত করেছি। এছাড়া অবৈধ দোকানঘর নির্মাণকারী তার স্থাপনা টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়। এভাবে সরকারি জায়গার উপর নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।