আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা শিল্প ও বণিক সমিতি নিয়ে একটি অশুভ চক্র খেলা খেলছে উল্লেখ করে সংগঠনটির সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু বলেন, শিল্প ও বণিক সমিতিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আমরা আলাপ আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠন করতে চাই। আর এর সভাপতিও হবেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি রাজনৈতিক নয় বরং চেম্বারের সহায়তায় কাজ করবেন। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে এক অনির্ধারিত প্রেস ব্রিফিংয়ে নাসিম ফারুক খান মিঠু একথা বলেন। এ সময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান, মো. গোলাম আাযম, মনিরুল ইসলাম মিনি, সৈয়দ শাহিনুর আলি, মো. মনিরুজ্জামান মুকুল, মহসিন হোসেন প্রমুখ পরিচালকবৃন্দ। মিঠু খান আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরে সাতক্ষীরা চেম্বারের নির্বাচন। আমরা ভোটাভুটি না করে সমঝোতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মকর্তা তাহমিদ শাহেদ চয়ন, আবদুল মান্নান, মনিরুল ইসলাম মিনি ও সৈয়দ শাহিন আলির ওপর সমিতির পক্ষ থেকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু সদস্য বলছেন তাহমিদ শাহেদ চয়নকে সভাপতি করা হলে সমঝোতা হবে, অন্যথায় নয়। তিনি আরও বলেন, এটা কোনো সমঝোতামূলক প্রস্তাবনা হতে পারে না। নিজে পর পর তিনবার সাতক্ষীরা চেম্বারের সভাপতি ছিলেন উল্লেখ করে মিঠু খান বলেন, চেম্বার পরিচালিত হয় ট্রেড অরগানাইজেশন রুল ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। সরকার এখানে ১০০ টাকাও দেয় না জানিয়ে তিনি বলেন, সব টাকা আসে সদস্যদের নবায়ন ফিসের মাধ্যমে। তিনি বলেন এখানে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাট করার কোনো সুযোগ নেই। সাতক্ষীরা চেম্বারে ১০০০ থেকে ১২০০ সদস্য ও ২০ জন পরিচালক রয়েছেন। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলছি আগামি নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বী হবো না। বরং একজন জ্যেষ্ঠ পরিচালককে আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি বানাতে চাই। তিনি বলেন, তার সময়কালে সাতক্ষীরা বিসিকে ৭১ লাখ টাকা এসেছে। মিঠু খান বলেন, ভোমরা বন্দরের প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ শহিদ স ম আলাউদ্দিনের প্রতিটি মৃত্যুবার্ষিকী চেম্বারে পালিত হয়েছে। ভোমরা বন্দর নানাভাবে বৈষম্যের শিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোমরা বন্দরে সব পণ্য আমদানি রফতানির সুযোগ নেই।