আন্তর্জাতিক

যৌন নির্যাতনে নাম জড়িয়েছে ভারতের যেসব ধর্মগুরুদের

By Daily Satkhira

August 26, 2017

১. বাবা পরমানন্দ: যৌন নির্যাতনের দায়ে গত ২৪ মে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকির পুলিশ গ্রেফতার করে রাম শঙ্কর তিওয়ারি ওরফে বাবা পরমানন্দকে।

অভিযোগে বলা হয়, বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার নামে নারীদের উপর যৌন নিপীড়ন চালাতেন তিনি। বেশ কয়েক জন নারী পরমানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বারাবাঁকির আশ্রমে তল্লাসি চালিয়ে পর্ন মুভির সিডি, নারীদের অশ্লীল ভিডিও এবং অশ্লীল পত্রপত্রিকা উদ্ধার করে পুলিশ।

২. আশারাম বাপু: মাকে ঘরের বাইরে বসিয়ে রেখে ১৬ বছরের মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল স্বঘোষিত গুরু আশারাম বাপুকে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের ইনদওরের আশ্রম থেকে ধরা পড়েন বাপু। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানিতেও অভিযুক্ত তিনি। দোষী সাব্যস্ত হয়ে এখনও যোধপুরের জেলেই আছেন।

৩. সন্ত রামপাল: ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে ২০১৪ সালের নভেম্বরে হরিয়ানার সন্ত রামপালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিয়মিতই তিনি শয্যাসঙ্গিনী বদল করতেন বলে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে।

৪. নিত্যানন্দ: একাধিক ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ২০১২ সালের জুনে বেঙ্গালুরুর আশ্রম থেকে ধর্মগুরু নিত্যানন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক তামিল নায়িকার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের ভিডিও সামনে আসায় তাকে নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়।

৫. সন্ত স্বামী ভীমানন্দজী মহারাজ: দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূটের শিব মুরাত দ্বিবেদী ওরফে স্বামী ভীমানন্দজি মহারাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৯৯৭ সালে লাজপত নগর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

৬. স্বামী গঙ্গেশানন্দ: ধর্ষণের চেষ্টা করায় কেরালার তিরু অনন্তপুরমে স্বামী গঙ্গেশানন্দ ওরফে হরি স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে নিয়েছিলেন এক তরুণী। ওই তরুণীর অভিযোগ ছিল, সাত বছর ধরে লাগাতার ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল তাকে। হরি স্বামী নিজেকে কোল্লমের চাত্তাম্বি স্বামী আশ্রমের আবাসিক বলে দাবি করেছিলেন, যদিও পরে পুলিশ জানিয়েছে ওই আশ্রমের সঙ্গে তার কোন সম্পর্কই ছিল না।

৭. গুরমিত রাম রহিম: ২০০২ সালে এক শিষ্যা রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে ওই শিষ্যা অভিযোগ করেন, অন্য শিষ্যাদেরও হরিয়ানার সিরসায় ডেরা চত্বরে একাধিক বার ধর্ষণ করেন। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সিবিআইকে রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করতে নির্দেশ দেয়। শুক্রবার তাকে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সূত্র : আনন্দবাজার