ফিরছেন, তিনি ফিরছেন। তাও কী না আট হাজার ৭৬০ ঘণ্টা পর। অর্থাৎ প্রায় এক বছর পর। গত ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছিল তার জোড়া ছবি। এবারের ঈদেও তিনি পেতে যাচ্ছেন জোড়া আনন্দ। বলছি, বুবলীর কথা। বুবলী নামটার মধ্যেই কেমন যেন ‘আদুরে আদুরে’ ভাব রয়েছে। কিন্তু তার অভিনীত ছবির নাম শুনে কে মানবে সে কথা? সিনেমায় নাম লেখানোর আগেই ‘বসগিরি’ দেখাতে শুরু করেন। এ ধারাবাহিকতায় নিজেকে জাহির করেন ‘শুটার’ হিসেবে। এর পরপরই অনেকটা ‘অহংকারী’ হয়ে উঠেন। আর এখন তো পুরোদস্তুর ‘রংবাজ’। ‘বসগিরি’ ও ‘শুটার’ গত ঈদুল আজহায় মুক্তি পায়। আর এই ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তার ‘অহংকার’ ও ‘রংবাজ’।
এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তার নিজের সঙ্গেই। কারণ তার দুটি ছবিই বিগ বাজেটের এবং দর্শকদের প্রত্যাশাও রয়েছে তাকে ঘিরে। বিশেষ করে ছবি তৈরির আগেই আলোচনায় চলে আসে ‘রংবাজ’ ছবিটি। এ ছবিকে ঘিরে ইতিমধ্যে বেশ কিছু আলোচনা ও সমালোচনা উচ্চারিত হয়েছে। ছবি নির্মাণের প্রথম দিকে পরিচালক ছিলেন শামীম আহামেদ রনী। এরপর নানা জটিলতায় পড়ে পরিচালক পরিবর্তন হয়। বর্তমান পরিচালক আবদুল মান্নান। আলোচনা এখানেই শেষ নয়— ‘রংবাজ’ ছবির গানগুলোও ইতিমধ্যে বেশ শ্রুতিমধুর হয়েছে ও দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডে চিত্রায়িত গানগুলো বেশি নজর কাড়ছে বোদ্ধাদের। অন্যদিকে বুবলীর ‘অহংকার’ ছবিটিও অনেকটা ব্যতিক্রম বলে জানা গেছে। শাহাদাৎ হোসেন লিটন পরিচালিত এ ছবিতে বুবলীকে হুট করে চিনতে কষ্ট হবে। কারণ আর কিছুই নয়, এত অহংকারী বুবলী। তাকে ভেঙে, গুঁড়ো করে নতুন করে উপস্থাপন করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা দুটি ছবিতেই রয়েছেন হালের অন্যতম ক্রেজ শাকিব খান। ঈদের ছবি মানেই শাকিব খান- গত কয়েক বছর যাবৎ বাংলা সিনেমায় এ ধারাটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। সুতরাং ‘অহংকার’ এবং ‘রংবাজ’ ছবিই একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে।
বলতে গেলে দর্শকরা বিচার করবেন কোন বুবলীকে বেশি ভালো লাগছে।
যে-যাই বলুক না কেন, বুবলীর মনে কিন্তু এখন ‘ডাবল লাড্ডু’ ফুটছে। কারণ প্রত্যাবর্তনটা অনেকটা রাজসিক হচ্ছে তার। ঈদের আনন্দ ও ছবির মুক্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বুবলী বলেন, এবারের ঈদটি আমার জন্য অনেক বেশি স্পেশাল। কারণ এ ঈদে আমার ‘রংবাজ’ ও ‘অহংকার’ ছবি দুটি মুক্তি পাচ্ছে। তাই প্রচারণার কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। তবে মনটা একটু খারাপ বন্যাদুর্গতদের জন্য। আমরা যতই ঈদে আনন্দ-ফুর্তি করি না কেন, তাদের কথা মাথায় রাখতে হবে। তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসি তাহলে অনেক কষ্ট লাগব হবে তাদের।
বুবলী আরও বলেন, আমি এমনিতে একটু ঘরকুনো মানুষ। কাজ বাদে তেমন বাইরে থাকা হয় না। পরিবার-পরিজনকে ঈদের দিন সময় দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এদিকে খাবার-দাবার হিসেবে প্রতি ঈদেই আমার হাতে করা একটি স্পেশাল আইটেম থাকে। ঈদ যেহেতু কোরবানির, তাই ইচ্ছা আছে মাংসের কোনো স্পেশাল আইটেম রাখার।