ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ আছে ঋতুপর্ণার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে রচিত বই প্রকাশ অনুষ্ঠানেও গুরুত্বপূর্ণ অতিথি তিনি। তার নাম জড়িয়েছেন রোজভ্যালিকাণ্ডেও। কিন্তু, চলচ্চিত্রের পাট চুকিয়ে এবার তবে কী এবার প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে? নাম লেখাবেন কি গেরুয়া শিবিরে? জল্পনা চলছিলই অনেক দিনের কিন্তু জল্পনার অবসান হল না, বরং আরও বেড়ে গেল।
শুক্রবার কলকাতার মহাজাতি সদনের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে লেখা বই প্রকাশ অনুষ্ঠান হাজির হয়ে রহস্য বজায় রাখলেন ঋতুপর্ণা। অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজেই মন্তব্য করলেন, ‘‘এখনই প্রস্তাব নিয়ে কিছু ভাবছি না। মতামত পরিবর্তন করলে অবশ্যই জানাব। ’’
রোজভ্যালি কাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল বিজেপি-র সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রাখছেন ঋতুপর্ণা। তবে কোন দিন প্রকাশ্যে সেকথা স্বীকার করেননি বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকি শুক্রবারই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জল্পনায় আমল দেননি তিনি।
এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, ‘‘একজন শিল্পী হিসেবে সবার সঙ্গে সখ্যতা রাখা আমার কাজ। আমি তাই করছি। আমি একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি। যদি পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে আসি আমি আগে আপনাদের আগে জানাবো’। তার উত্তরের পিছনের যুক্তিও নিজেই দিয়েছেন অভিনেত্রী। কেবলমাত্র বিজেপি নয়, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জির সঙ্গেও যে সু-সম্পর্ক বজায় রয়েছে তার তা বোঝাতে ভুললেন না ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যদি কোন বই প্রকাশিত হয় সেখানেও আমি যাবো’।
শুক্রবার মহাজাতি সদনে প্রকাশিত হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে লিখিত সাংবাদিক উদয় মহুরকারের বই ‘মার্চিং উইথ আ বিলিয়ান’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, বিজেপি কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত প্রমুখ।