এম বেলাল হোসাইন: ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে। সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের সাতানীতে বিদ্যুৎ এর সংযোগ লাইন টানতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঐ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম থাকলে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করার পূর্বে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে ঠিকাদার কিছুই জানায়নি বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে কোথায় কখন বিদ্যু লাইনের কাজ হবে তা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মনিটরিং করার কথা থাকলেও তার তা করেনি। যে কারণে ঠিকাদার ইচ্ছেখুশি কাজ করতে গিয়ে একজন শ্রমিকের অকাল মৃত্যু হলো। বুধবার বিকাল ৪টায় এঘটনা ঘটে। মৃত শ্রমিকের নাম জহিরুল ইসলাম(২৬)। তার বাড়ি তালা উপজেলার কলাপোতা গ্রামে। সূত্র জানায়, বাঁশদহার সাতানী এলাকায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ লাইন টানতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে পাটকেলঘাটা বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন সাতানী এলাকায় বিদ্যুতের লাইন টানতে যায়। এসময় জহিরুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তার সাথে থাকা অন্যরা তাকে উদ্ধারকরে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে এবিষয়ে বিষয়ে পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম নাজমুল হক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করে বলেন, “ঠিকাদার আমাদের না জানিয়ে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করতে গিয়েছিল, যে কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।” কিন্তু ঠিকাদারের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি পরিচয় জানান নি। বাস্তবতা হচ্ছে তিনি কোন এক অদৃশ্য কারণে ঠিকাদারের পরিচয় গোপন করছেন। অন্যদিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্যা মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই মৃত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখান থেকে তার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসছিল। পরে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে ঘটনাটি বলেছেন।