স্বাস্থ্য ও জীবন : মূলত রাতে বিছানায় যাবার পূর্বে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে রাতের আহার শেষ করতে বলা হয়। কিন্তু এই ২-৩ ঘণ্টা পার করতে গেলে আবার ক্ষুধা লাগে। তাই রাতে হালকা পাতলা কিছু পানীয় পান করলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা তো থাকেই না, উল্টো ওজন কমে যায়। সেরকম কিছু পানীয় নিয়ে আজ আমাদের আলোচনা- ১। গরম দুধ: দুধ ক্যালসিয়ামের সব চাইতে ভালো উৎস। ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠন মজবুত করে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি এর সাহায্যে আমাদের হাড় ও দাঁতে শোষিত হয়ে হাড় ও দাঁতের গড়ন দৃঢ় করে এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। রাতে এক গ্লাস দুধ পান করলে অন্যান্য খাবারের চাহিদা কমে যায়, তাই দুধ পান করলে ওজন কমে। ২। সয় দুধ: গরুর দুধ আপনার প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা ছাড়াও অনেক ধরনের ভিটামিন ও খনিজ প্রদান করে। আলমন্ড দুধ দারুণ স্বাস্থ্যকর। তাই বলে সয় দুধের কথা ভুলে গেলে চলবে না। সয়বিন ভিজিয়ে, পিষে এবং সেদ্ধ করে সয় দুধ বানানো হয়। শক্তি ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রদানে সয় দুধ দারুণ এক পানীয়। রক্তের লিপিড অংশকে সমৃদ্ধ করে এবং আনস্যাটুরেটেড ফ্যাট প্রদান করে দেহে। উদ্ভিদজাত দুধের মধ্যে এটা সেরাদের অন্যতম। সয় দুধে গরুর দুধের চেয়ে কম পরিমাণ চিনি থাকে। ফলে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য আদর্শ। এই দুধ দেহকে ক্যালসিয়াম গ্রহণে সহায়তা করে। ৩। আপেল সিডার: অনেকেই জানেন না আপেল সিডার স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এই পানীয় পাস্তুরিত থাকে না। ফিল্টারও করা হয় না। একে থাকে প্রাকৃতিক চিনি। দেহের বিষাক্ত উপাদান তাড়াতে এই পানীয় খুবই কার্যকর। আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ক্যান্সার, হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোক সামলাতে আপেল সিডার বেশ উপকারী। ৪। আঙুরের রস: আঙুরের রস বা জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে। সৌন্দর্য ও লাবণ্য ধরে রাখতে আঙুরের রসের জুড়ি নেই। তাছাড়া পোলাউ বা চালের জর্দা জাতীয় খাবারে সামান্য আঙুরের রস এনে দেয় রসালো ভাব ও স্বাদ। কিছুটা কিশমিশের ‘টেস্ট’। বিপাক ক্রিয়া ঠিক রেখে এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।