রাম রহিম সিং-ই প্রথম নন, তার আগে আরো একজন ধর্মগুরু ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। তিনি হলেন ৭৬ বছর বয়সী আসারাম বাপু। ১৬ বছর বয়সী এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে তিনি এখন রাজস্থানের জেলে। চার বছরের বেশি সময় ধরে তিনি জেলে রয়েছেন।
তবে তার মামলায় রয়েছে ধীরগতি। এ বিষয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। গুজরাট সরকারকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেছেন, এ মামলায় কেন এই বিলম্ব? আপনারা নির্যাতিত (বালিকাকে) দেখতে যান নি। কিন্তু কেন আমাদের বলুন? এর পাশাপাশি এ মামলায় একটি অগ্রগতি রিপোর্ট দিতে রাজ্য সরকারকে আদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০১৩ সালের শুরুতে নিজের আশ্রমে ১৬ বছর বয়সী ওই বালিকাকে আশারাম বাপু ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর ওই বছর আগস্ট থেকে রাজস্থানের জেলে আছেন আশারাম বাপু। এই ধর্মগুরুর বয়স এখন ৭৬ বছর। ঘটনার দু’মাস পরে আশারাম বাপু ও তার ছেলে নারায়ণ সাইয়ের বিরুদ্ধে দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। বলা হয়, তারা গুজরাটের সুরাটে তাদের আশ্রমে ওই দুই বালিকাকে ধর্ষণ করেছেন। এ মামলাটি গান্ধীনগরের আদালতে মুলতবি অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে আশারাম বাপুর জামিন আবেদনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এ সময় রাজ্য সরকারকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন আদালতের বিচারক। তার জবাবে গুজরাট সরকার জানায়, মামলার বিলম্বের জন্য দায়ী তথাকথিত ‘ধর্মগুরু’। এ বছরের শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্ট কোনো কালবিলম্ব না করে নির্যাতিত বালিকার কাছ থেকে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এখনও ৪০ জনের বেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় নি। বিভিন্ন কারণে আশারাম বাপুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, আশারাম বাপু ও তার ছেলে জেলে থাকা অবস্থায় এ মামলার ৬ জন সাক্ষীর ওপর হামলা হয়েছে। এর মধ্যে নিহত হয়েছেন দু’জন।